দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডুতে আবার বেড়েছে করোনার প্রকোপ। সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দাকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনসমাগম সীমিত করার পাশাপাশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ করে শহরব্যাপী লকডাউন জারি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাড়িতে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শহরের সব বাসিন্দাকে।
সিএনএন জানায়, প্রতি বৃহস্পতিবার শহরে সবার বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেই কেনাকাটা, বাজার করতে বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া কেবল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা জন্য বাইরে যাওয়া যাবে।
বুধবার চেংডুতে ১৫৬ জনের দেহে করোনা ধরা পড়ে। এক সপ্তাহে মোট আক্রান্ত হন ৭০০-এর বেশি।
লকোডাউনের আওতায় সুপারমার্কেট, ফার্মেসি ও হাসপাতাল ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁগুলোতে শুধু প্যাকেট খাবার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অন্যতম সফল দেশ চীনের জিরো-কোভিড নীতি অনেক ক্ষেত্রেই সমালোচিত। এর আগে করোনা নির্মূলে সাংহাইতে দুই মাস ধরে লকডাউন দেওয়া হয়।
লকডাউন জারি হওয়া এলাকাগুলোতে প্রতিবারই ব্যাপক নজরদারি ছাড়াও করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক থাকে। ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন অনেকেই।
দৈনন্দিন জীবনকে বিপর্যস্ত করার পাশাপাশি চীনের অর্থনীতিতেও বড় ধাক্কা দিয়েছে এই লকডাউন নীতি। জুলাই মাসে চীনে বেকারত্ব রেকর্ড হারে বেড়েছে। দেশটির প্রতি পাঁচজন যুবকের মধ্যে একজন এখন বেকার।