হজে যেতে পারলেন না আফ্রিকার কয়েক লাখ মুসল্লি

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান জীবনে অন্তত একবার পবিত্র শহর মক্কায় হজ যাত্রার স্বপ্ন দেখেন। 

২০১৯ সালেও হজের সুযোগ পান প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তবে ২০২০ সাল থেকে মহামারির কারণে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক হজযাত্রীদের মক্কা ভ্রমণে আরোপ করেছে নানা বিধিনিষেধ।

এ বছর পাঁচ দিনের হজের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন সাড়ে ৮ লাখ মুসলিম। যা মহামারির আগের বছরগুলোর তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এছাড়াও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ও টিকা না পাওয়া মুসল্লিরাও হজে যাওয়ার সুযোগ পাননি।

তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আফ্রিকার মুসল্লিরা। পশ্চিমা দেশগুলোর মুসলমানরা লটারি পদ্ধতিতে হজে যাবার সুযোগ পেলেও আফ্রিকাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেরই হজে যাওয়া হয়নি।

জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, এবছর পশ্চিম আফ্রিকার অনেক দেশে এজেন্সিগুলো প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি করায় হজযাত্রার জন্য তা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে হজের খরচ নির্ধারিত থাকলেও জ্বালানির দাম বাড়ায় বিমান ভাড়া বেড়ে গেছে।

এছাড়াও ডলারের বিপরীতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর মুদ্রার মান নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় এই বছর হজ আগের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, নাইজেরিয়া ও সেনেগালে হজ ভ্রমণের খরচ প্রায় বেড়েছে ৬০ শতাংশ, ঘানায় বেড়েছে ১০০ ভাগ পর্যন্ত।

অনেক দেশের সরকার জাতীয় হজ কমিশনকে বড় ভর্তুকি দেওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচের কারণে আফ্রিকার অনেক হজযাত্রীর পবিত্র মক্কা শহরে যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়।