পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা হানা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত শুধু বেলুচিস্তান ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। কিছু স্থানে পশুপালক ও বেশ কিছু পশু বন্যায় ভেসে গিয়ে মারা গেছে। বন্যা ভেসে গেছেন বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিকও।
কর্তৃপক্ষের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডন বলছে, এক দিন আগে বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ছয়জন মারা যান। বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অংশে ও কোয়েটায় ১৩ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র বলছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। বেলুচিস্তানে পাঁচ খনি শ্রমিক বন্যায় ভেসে গেছে। যাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও দুজনের সন্ধান এখনো চলছে।
তুবা আচাকজাই প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) বলেছে, এই প্রদেশে একজন মেষপালক ও তার ২০০টি পশুর পাল বন্যায় ভেসে গেছে। রাখালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেসে যাওয়া সব প্রাণীও মারা গেছে। প্রদেশের কাকরি, পিশিন ও কিল্লা সাইফুল্লাহ এলাকায় বন্যায় ১০০টিরও বেশি বাড়ি, বাগান ও মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, তাছাড়া নাসিরাবাদে বন্যায় পাঁচজন ভেসে গেছে। একজন মারা গেছে। দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের সন্ধান এখনও চলছে।
এলাকাগুলোকে ভারী বর্ষণ আরও আঘাত হানবে। বন্যার মতো পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকবে।
পানি ও নিষ্কাশন সংস্থা (ওয়াসা) জানিয়েছে এদিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ৬০ মিমি বৃষ্টিপাতের পর বেশ কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। যানবাহন পানিতে আটকা পড়েছে।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ছে। নল্লা লাইয়ের কাতারিনা পয়েন্টে পানি প্রবাহ ১২ ফুট ও গোয়ালমান্দি সেতুতে ৯ ফুট বেড়েছে। ইসলামাবাদের বিভিন্ন বাড়িতে পানি ঢুকেছে, এলাকার ড্রেনের দেয়াল ভেঙে পড়েছে, প্লাবিত রাস্তায় বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।