সমুদ্রে হাঙরের আক্রমণে দুই নারীর প্রাণহানি

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০৪:২১ পিএম

মিসরে ঘুরতে গিয়েছিলেন বিদেশি দুই নারী পর্যটক। সেখানে লোহিত সাগরে সাঁতার কাটতে যান তারা। কিন্তু ফেরা হলো না আর নিজ দেশে। হাঙরের আক্রমণে সমুদ্রেই ঝরে গেল তাদের প্রাণ।

এবিসি নিউজ বলছে, হাঙরের আক্রমণে প্রাণ হারানো পর্যটকদের একজন অস্ট্রিয়ার ও অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক। মিসরের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও দুই পর্যটের দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়। এই ঘটনার পরপরই লোহিত সাগরের উপকূলরেখার একটি প্রসারিত অংশ বন্ধ করার জন্য কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

মিসরের পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের উপকূলীয় শহর হুরগাদার দক্ষিণে সাহল হাশেস এলাকার একটি রিসোর্টের পাশে লোহিত সাগরে সাঁতরানোর সময় ওই দুই নারী একটি হাঙরের আক্রমণের শিকার হন। এই মারাত্মক ঘটনার পর সেখানে সৈকতের পানিতে নামা স্থগিত করেছে লোহিত সাগর অঞ্চলের গভর্নর জেনারেল আমির হানাফি।

মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাঙরের আক্রমণে দুই বিদেশি নারী পর্যটকের মৃত্যুর বৈজ্ঞানিক কারণ ও ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কাজ করছে একটি টাস্কফোর্স। কেন এ ঘটনা ঘটল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লোহিত সাগর জনপ্রিয় একটি পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সীমানার বাইরে নামলে হাঙরের আক্রমণ হয়।

মিসরের পরিবেশ মন্ত্রণালয় দুই নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, নিহতদের একজন ৬৮ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান নারী ও অন্যজন রোমানিয়ান নারী পর্যটক।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এবিসি নিউজকে জানান, পশ্চিমাঞ্চলীয় টাইরল রাজ্যের একজন অস্ট্রিয়ান নাগরিক মিসরে মারা গেছেন। কায়রোর অস্ট্রিয়ান দূতাবাস ভিকটিমের আত্মীয়দের পাশাপাশি মিসরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তার কারণে এর বেশি কিছু জানানো যাবে না।

রোমানিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, একজন রোমানিয়ান নারী হুরগাদায় ছুটি কাটাচ্ছিলেন, তিনি হাঙরের আক্রমণে মারা গেছেন। কায়রোতে রোমানিয়ান দূতাবাস মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। নিহতের আত্মীয়দের শনাক্ত করতে রোমানিয়ান কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ভুক্তভোগীর বিষয়ে এর বেশি কোনো অতিরিক্ত বা নির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া যাবে না বলে তিনি জানান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোগে মিসরের লোহিত সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে হাঙরের আক্রমণ তুলনামূলকভাবে বিরল। ২০২০ সালে ১২ বছর বয়সী এক ইউক্রেনীয় ছেলে একটি বাহু হারিয়েছিল। সেবার হাঙরের আক্রমণে এক মিশরীয় ট্যুর গাইড একটি পা হারিয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালে লোহিত সাগরের সৈকতে হাঙরের আক্রমণে চেক প্রজাতন্ত্রের একজন পর্যটক প্রাণ হারান। ২০১৫ সালেও হাঙরের আক্রমণে প্রাণ যায় এক জার্মান পর্যটকের।