অপহৃতদের উদ্ধারে গিয়ে নিহত ৩০ সেনা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম

নাইজেরিয়ার শিরোরো এলাকায় একটি খনিতে বন্দুকধারীরা হামলা করে অনেককে অপহরণ করেছে। অপহৃতদের উদ্ধারে যাওয়া সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় অন্তত ৩০ জন নাইজেরিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে নাইজার রাজ্যের ওই খনিতে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রয়টার্স বলছে, বুধবারের হামলার সময় অপহৃত হওয়া চার জন চীনা নাগরিকসহ খনি শ্রমিকদের উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।

উত্তর-পশ্চিম নাইজারের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিশনার ইমানুয়েল উমর প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, আজতা আবোকি গ্রামে খনিতে হামলার সময় অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। খনিতে হামলার জবাব দিতে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পরে বন্দুকধারীদের অতর্কিত আক্রমণের মুখে পড়েন। বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়ে তিনটি ট্রাকে থাকা ৩০ সেনাকে হত্যা করে।

শিরোরোর সেনাঘাঁটির এক সেনা রয়টার্সকে বলেন, “শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যাওয়া আমাদের লোকজনকে হারানো হৃদয়বিদারক। তাদের মৃত্যু আমাদের দুর্বল করবে ঠিকই কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না।”

লড়াইয়ে ক্ষয়ক্ষতির কথা সহজে স্বীকার  করেনি নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী। তবে তারা বলছে, শিরোরোতে তুমুল লড়াইয়ে বেশকিছু সেনাকে সর্বোচ্চ মূল্য চুকাতে হয়েছে।

স্থানীয় এক নেতা ফোনে রয়টার্সকে বলেন, বুধবার বন্দুকধারীরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও একটি ট্রাকে করে এসে খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৭ পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে। তারা চীনা কর্মীদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ৮ জন সাধারণ মানুষকেও হত্যা করে। সাধারণ ব্যক্তিরা খনির কর্মী কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, অপহৃত কর্মীদের খোঁজে চালানো অভিযানে মিন্নাতে অবস্থিত নাইজেরিয়ার ট্রেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে নাইজার রাজ্য পুলিশের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বন্দুকধারীদের ‘স্যাডিস্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “শিরোরো ন্যায়বিচার দেখবে।”

শিরোরোতে বোকো হারাম জঙ্গিদের উপস্থিতি আছে বলে গত বছর স্থানীয় কর্মকর্তারা তাদের সন্দেহের কথা জানালেও আজাতা আবোকি গ্রামের ওই খনিতে ও পরে সেনাদের ওপর কারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।