ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন সুধাকর দালেলা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ০২:২৯ পিএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী বিদায় নিচ্ছেন। তিনি লন্ডনে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বভার নিতে চলেছেন। তার জায়গায় বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হয়ে আসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত সুধাকর দালেলা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার আগে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বদলি যথেষ্টই তা‍ৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিক মহল।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা ভেবেই ঢাকায় নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হচ্ছে বর্তমানে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত সুধাকর দালেলাকে। অতীতেও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

এর আগে ১৯৯৩ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যোগ দেন দালেলা। কূটনীতিবিদ হিসেবে ইসরায়েল, ব্রাজিল ও সুই‍ৎজারল্যান্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দালেলা। এবার দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতের।

দুই বছর আগে রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাশের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ঢাকায় এসেছিলেন দোরাইস্বামী। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। আগামী ৩০ জুন অবসর নিচ্ছেন লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গায়ত্রী ইশার কুমার। তার জায়গাতেই পাঠানো হচ্ছে চতুর কূটনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত দোরাইস্বামীকে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র দোরাইস্বামী ১৯৯২ সালে কূটনীতিবিদ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বেশ কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন। কূটনীতিবিদ হিসেবে উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মার্কিন মুলুকেও ভারতের দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

মোদি সরকারের কয়েক মাস দীর্ঘ নিবিড় মনোনয়ন প্রক্রিয়ার পর যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন দোরাইস্বামী। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদারে সচেষ্ট হবেন দোরাইস্বামী। তবে কাশ্মীর ও শিখ ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয় বেশকিছু বিরোধপূর্ণ বিষয় তাকে সামাল দিতে হবে।