ইসরায়েলি বুলেটে সাংবাদিক শিরিন নিহত: জাতিসংঘ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ১১:৪৪ এএম

আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনা। শিনিরনকে হত্যার লক্ষ্যে গুলি করা বুলেট ইসরায়েলি বাহিনীর। ঘটনাটি নিয়ে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দ্য গার্ডিয়ান বলছে, গত ১১ মে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিনকে হত্যা করা হয়। অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিনে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান পরিচালনার প্রতিবেদন সংগ্রহ করার সময় তাকে গুলি করা হয়। সে সময় সাংবাদিক চিহ্নিত একটি হেলমেট ও জ্যাকেট পরা ছিলেন তিনি।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, “শিরিনকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। তার দেহে বেধ করা বন্দুকের বুলেট ইসরায়েলি বাহিনীর। এটা আমরা তদন্তে পেয়েছি। এ নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অপরাধমূলক তদন্ত পরিচালনা করেনি, এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক।”

তিনি আরও বলেন,  “জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসে ঘটনার বিষয়ে আমাদের স্বাধীন পর্যবেক্ষণ শেষ করেছি। যে বুলেট আবু আকলেহকে হত্যা করেছে ও তার সহকর্মী আলি সামোদিকে আহত করেছে তা ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে এসেছে। সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি থেকে নয়, যেমনটি প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল।”

শামদাসানি বলেন, “সাংবাদিকদের আশেপাশে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের কার্যকলাপ ছিল বলে আমরা কোনো তথ্য পাইনি।”

মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ঘটনার ছবি, ভিডিও ও অডিও উপাদান পর্যবেক্ষন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। অফিসিয়াল যোগাযোগ পর্যালোচনা করেছে ও সাক্ষীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাতজন সাংবাদিক সকাল ৬টার পরেই জেনিন শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম দিকের প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চারজন সাংবাদিক একটি রাস্তায় যান। তখন সেখানে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে তাদের দিকে বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয়েছিল। একটি বুলেট আলি সামোদির কাঁধে লেগে আহত হন তিনি। আরেকটি বুলেট আবু আকলেহের মাথায় বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

আবু আকলেহের হত্যা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য সমস্ত হত্যাকাণ্ডের অপরাধ তদন্তের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।