দুই শতাধিক আদিবাসীকে হত্যা করল ইথিওপিয়ার বিদ্রোহীরা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২, ১০:৩২ এএম

ইথিওপিয়ায় জাতিগত সহিংসতার বলি হলেন দুই শতাধিক আমহারা আদিবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দেশটির ওরোমিয়া অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হন তারা।

আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশে ইথিওপিয়ায় কয়েক বছর ধরেই দাঙ্গা ও উত্তেজনা চলছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটি সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা।

শনিবারের হামলার সময় পালিয়ে আসা গিম্বি কাউন্টির বাসিন্দা আব্দুল-সইদ তাহির অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, “আমি অন্তত ২৩০টি লাশ গণনা করেছি। আমরা অনেককে গণকবরে দাফন করছি। এখনও লাশ সংগ্রহ করছি। এটি আমাদের জীবদ্দশায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ। সরকারি সেনারা এখন টহল দিচ্ছে, কিন্তু আমদের আশঙ্কা তারা চলে গেলে আবারও হামলা হতে পারে।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শাম্বেল বলেন, “আমহারা সম্প্রদায় এমন গণহত্যার আগেই এখান থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছিল। ৩০ বছর আগে পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল এই আদিবাসীরা। তাদের মুরগির মতো হত্যা করছে বিদ্রোহীরা।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা এই হামলার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওরোমো লিবারেশন আর্মিকে (ওএলএ) দায়ী করেছেন। এক বিবৃতিতে ওরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকারও ওএলএ-কে দোষারোপ করেছে।

তবে ওএলএর মুখপাত্র ওদা টারবিই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এপি-কে এক বার্তায় তিনি বলেন, “আপনারা যে আক্রমণের কথা বলছেন তা সরকারি বাহিনী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কাজ। আমাদের সাম্প্রতিক হামলার পরে তারা গিম্বি থেকে পিছু হটেছিল। টোল নামক একটি এলাকায় পালিয়ে যায় তারা। সেখানেও তারা স্থানীয় জনগণকে আক্রমণ করে ওএলএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। রোববারের হামলার সময় আমাদের যোদ্ধারা ওই এলাকায় ছিল না।”

ইথিওপিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই জাতিগত উত্তেজনা চলছে। এর অধিকাংশই ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণে ঘটছে। আমহারা জনগণ, ইথিওপিয়ার ১১ কোটি জনসংখ্যার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী গোষ্ঠী ওরোমিয়ার মতো অনেক সম্প্রদায় এসব হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।