তাইওয়ানের আকাশে চীনের ৩০টি যুদ্ধবিমান

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম

তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে ৩০টি যুদ্ধবিমান উড়িয়ে মহড়া দেখিয়েছে প্রতিবেশী চীন। বেইজিং এমন সময় এ মহড়া দেখিয়েছে, যখন তেইপেইতে মার্কিন কর্মকর্তা সফরে এলেন। তাইওয়ানের আকাশে জানুয়ারির পর থেকে সোমবারের এই মহড়াকে চীনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বিবিসি বলছে, তাইওয়ানে চীন আগ্রাসন চালাতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঠিক তার কিছুদিন পর সোমবার তেইপেই সফরে আসেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের সফরের মধ্যেই এই মহড়া দেখিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন।

চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। দেশটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধবিমান মহড়া বৃদ্ধি করেছে। বেইজিং দাবি করছে, নিজেদের প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে তারা। তাদের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছে তাইওয়ান। সঙ্গে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এদিন চীনের মহড়া দেওয়া বিমানে ছিল ২২টি যুদ্ধবিমান, কিছু ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান ও অ্যান্টি-সাবমেরিন বিমান। প্রতাস দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি এলাকার আকাশে মহড়া দেয় এসব বিমান। যা তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এটি সরাসরি যুদ্ধের আগাম সতর্কতা।

তাইওয়ান এক বছরের বেশি সময় ধরে অভিযোগ করছে, তাদের আকাশসীমায় বারবার অনুপ্রবেশ করছে চীনের যুদ্ধবিমান। এটিকে ‘ধূসর’ যুদ্ধ হিসেবে দেখছে তেইপেই। এসব মহড়া দেখিয়ে চীনের লক্ষ্য হলো তাইওয়ানের কাছ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনের এই ‘সংঘাত’ সৃষ্টি তাইওয়ান সরকারের জন্য বড় বাধা। নিজেদের আনুষ্ঠানিক স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার বিরুদ্ধে এটি একটি সতর্কতা। যদিও বেইজিং দাবি করে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এসব মহড়া দেওয়া হয়।