১১৯ বছর বয়সে বিশ্বের দীর্ঘজীবি নারীর মৃত্যু

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৬:১৯ পিএম

বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ নারী কিম তানাকা জাপানে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, তানাকা ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি মারা যান।

তানাকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সংস্থাটিকে তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বার্ধক্যজনিত বিশেষজ্ঞ রবার্ট ইয়ং। বিশ্বের দীর্ঘজীবি নারী হিসেবে ২০১৯ সালে গিনেস রেকর্ডে তানাকার নাম যুক্ত করতে সহায়তা করেন ইয়ং।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলছে, ২০১৯ সালে তানাকা বিশ্বের দীর্ঘজীবি নারীর তালিকায় স্থান করে নেন। তখন বয়স ছিল ১১৬ বছর ২৮ দিন। এই তালিকায় তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।

তার আগে প্রথম দীর্ঘজীবি নারী ছিলেন জিন ক্যালমেন্ট। তিনি ১৮৭৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আর তার মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালের ৪ আগস্ট। তিনি ১২২ বছর বেঁচে ছিলেন।

তানাকা ১৯ বছর বয়সে এক চালের দোকানের মালিককে বিয়ে করেন। ১০৩ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিক দোকানে কাজ করেন তিনি। দুবার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বেঁচে ফেরেন তিনি। বহু ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বেঁচে ছিলেন তানাক। দুইটি বিশ্বযুদ্ধ, ১৯২৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু ও ২০১৯ সালে শুরু হওয়া করোনা মহামারি থেকেও নিজেকে রক্ষা করেছিলেন তিনি।

২০২০ সালে প্রকাশিত জাপান সরকারের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে প্রতি ১৫৬৫ জনের একজন ১০০ বছরের বেশি বেঁচে থাকেন। এরমধ্যে নারীর সংখ্যা ৮৮ শতাংশ। নারীদের ৮৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ আয়ুর তুলনায় পুরুষদের বেঁচে থাকার হার ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ।