ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ ও তার নিকটতম অতি ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারি লে পেনের মধ্যে এই উত্তেজনা বেশি দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লে পেনের প্রতি বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ম্যাখোঁ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত ধাপের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, এমানুয়েল ম্যাখোঁ অন্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে আছেন।
চূড়ান্ত নির্বাচনের দুই দিন আগে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) লে পেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, “অতি ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারি লে পেন নির্বাচনী প্রচারণায় কিছু ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন। দেশজুড়ে এ ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন তিনি। যা প্রশমিত করা অসম্ভব।”
লে পেনের প্রচারণার প্রতি ইঙ্গিত করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “সেখানে তিনি এসব করেছেন। লে পেন নিজে কিছুটা অগ্রগতি করেছেন। আর এসব করে আমাদের সমস্যায় পরিণত করে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন তিনি।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির নেতৃত্ব কে দেবে, তা নির্ধারণ করার মাত্র দুই দিন বাকি আছে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন জরিপ বলছে, সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অতি ডানপন্থী মারি লে পেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ম্যাখোঁ ও মারি লো পেন উভয় প্রার্থীই ২০১৭ সালের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। সেবার মধ্যপন্থী ম্যাখোঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে জনগণ। ডানপন্থী লে পেনকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য সহজেই পরাজিত করা হয়েছিল। এবার আর আগের মতো পরিস্থিতি নেই। লে পেনের সামনে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ম্যাখোঁ।
এবারের প্রথম দফা নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাখোঁ পেয়েছেন ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মারি লো পেন পেয়েছেন ২৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
এছাড়া আরেক প্রার্থী জঁ লুক মেলনশোঁ পেয়েছেন ২১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট ও এরিক জেমুর পেয়েছেন ৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।