বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখনো করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অনেক উন্নত দেশও এ ধাক্কায় হিমশিম খাচ্ছে।
এর মধ্যে যোগ হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। যার অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে। কিন্তু এর মধ্যেও উন্নয়নের চাকা ঘুরছে এশিয়ার দেশগুলোতে। বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
চলতি বছর এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। আর আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলছে, করোনাভাইরাসের ধাক্কা ও যুদ্ধের মধ্যেও এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মূলে রয়েছে আঞ্চলিক দক্ষতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দেশীয় চাহিদা ও বৈশ্বিক রপ্তানি পুনরুদ্ধার।
এডিবির হিসাবে, চলতি বছর পূর্ব এশিয়ায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এ অঞ্চলে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চলতি বছর আশা করা হচ্ছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির। পরের বছর যা দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ২ শতাংশে।
আর দক্ষিণ এশিয়ায় চলতি বছর ৭ দশমিক শূন্য শতাংশ ও পরের বছর ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে এডিবি।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, “উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতি ধীরে ধীরে করোনা মহামারির সবচেয়ে খারাপ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান খুঁজতে শুরু করেছে।”
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২২ রিপোর্ট অনুসারে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান সংঘাত ও মহামারির কবলে পড়লেও এশিয়া নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের করের বোঝা থাকলে সেখান থেকে নিজেদের উদ্ধার করেছে এ অঞ্চলের দেশগুলো।