যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সাল থেকেই তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে লেবানন। এরই মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ গোটা রাষ্ট্রকে দেউলিয়া ঘোষণা করলেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামি।
স্থানীয় আল-জাদেদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল-শামি বলেছেন, “বাংক ডু লিবানের সঙ্গে গোটা দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা জনগণের ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করছি।”
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন আর্থিক ক্ষতির অংশ রাষ্ট্র ছাড়াও ব্যাংক ডু লিবানসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আমানতকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। ক্ষতির বণ্টন নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই বলেও যোগ করেছেন তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। যুদ্ধের পর বিদ্রোহী নেতারা রাজনৈতিক নেতৃত্বে দিলেও চরম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশটির অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়ে।
গত কয়েক বছরে লেবাননের মুদ্রার দাম ৯০ শতাংশ পতন হয়েছে। দেশটিতে খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ মানুষের মৌলিক সুবিধাগুলোও ভোগ করার সামর্থ্য নেই জনগণের। পাশাপাশি জ্বালানির ঘাটতির কারণে ব্যাপক বিদ্যুৎবিভ্রাটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ।
লেবাননের পরিস্থিতিকে ২০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকট বলে অভিহিত করেছে বিশ্বব্যাংক। যদিও দেশটির গভর্নর বাইদ সালামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে তার দাবির পক্ষে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।