রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া ইউরোপ অচল বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবি। এছাড়া পশ্চিমা বিশ্বে গ্যাস সরবরাহের জন্য রাশিয়ার বিকল্প পাওয়াও ‘দুঃসাধ্য’ বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাব আল-কাবি।
অ্যান্ডারসনের এক প্রশ্নের জবাবে আল-কাবি বলেন, “বিশ্ববাজারের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়া সরবরাহ করে। ইউরোপের জন্য রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প পাওয়া ব্যবহারিকভাবেই অসম্ভ।”
কাতারের জ্বালানি মন্ত্রীর কাছে অ্যান্ডারসন জানতে চান রাশিয়ার ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা। জবাবে মন্ত্রী বলেন, “রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কাতারের। জ্বালানিকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।”
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ দিয়েছে পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের অবরোধের প্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো। এ জন্য রুশ মুদ্রার মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রায় আস্থা হারিয়েছে তারা। তাই ইউক্রেন ইস্যুতে রুশবিরোধী অবস্থান নেওয়া দেশগুলোকে রুশ মুদ্রা রুবলের মাধ্যমে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় রুবল। বুধবারই সর্বশেষ তিন সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে রুশ মুদ্রার দাম সর্বোচ্চ হয়েছে। এরই মধ্যে ১ ডলারের বিপরীতে ১০০-এর নিচে নেমে ৯৫-এ স্থির হয়েছে রুবল। ইউরোর বিপরীতেও দাম বেড়েছে ৩.৫ শতাংশ। প্রতি ইউরো এখন বিনিময় হচ্ছে ১১০.৫ রুবলে।