উত্তাল সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মাঝেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন অটোয়ার মেয়র জিম ওয়াটসন। ১০ দিন ধরে কানাডার রাজধানীতে ট্রাকচালকসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্যবিধিবিরোধী বিক্ষোভে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। যেকোন সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কানাডার পুলিশ প্রধান জানায়, রোববারও শহরে সরকারী নীতির বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আন্দোলন অব্যহত রেখেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার সঙ্গে বাইরের রাজ্য থেকে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেয়র বলেন, “বিক্ষোভকারীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে কেউ নিহত বা গুরুতর আহত হতে পারে। তাই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের আরও দ্রুত ও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।”
এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মত ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারী। যানজটের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আবাসিক এলাকাগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে অটোয়া ছাড়াও টরন্টো ও কুইবেক সিটিতেও বিক্ষোভ হয়েছে রোববার। সাসকাচোয়ান, ম্যানিটোবা ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সামনেও জমায়েত হয়েছিল আন্দোলনকারীরা।
মূলত সীমান্ত অতিক্রমকারী ট্রাক চালকদের জন্য টিকা ও কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করার পর শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন। এরপর বাকস্বাধীনতা আর অধিকারের দাবিতে আরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।