কাজাখস্তানের আলমাটিতে ‘কেয়ামতের আলামত’

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২, ০৮:১৬ পিএম

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান বিক্ষোভ আর সহিংসতায় বিধ্বস্ত কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাটি। প্রতিনিয়তই জোড়াল হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলন, যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন।

শহরের ভেতর পোড়া টায়ারের গন্ধে ভারি হয়ে আছে আকাশ-বাতাস। রাস্তায় লোকজন উপস্থিতি খুবই কম। সেনাবাহিনীর অত্যাচার আর অতর্কিত গুলির ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে গণবিক্ষোভের কেন্দ্র থাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে কাজাখস্তানের শহরটিকে পৃথিবীর ধ্বংসের মুহূর্ত তথা কেয়ামতের দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদেরও শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সৈন্যরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারাও হতবাক ও ক্ষুব্ধ। কাজাখস্তানে এধরনের সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা একেবারেই বিরল।

তবে রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে সৈন্য আসাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা করছেন অনেকে। তবে গণবিক্ষোভ সামাল দিতে কোন সতর্ক বার্তা ছাড়াই সৈন্যদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, কাজাখস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে দেখামাত্রই গুলি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জ্বালানির দাম বাড়ানোর পর গত সপ্তাহে পদত্যাগের ঘোষণা দেয় কাজাখস্তান সরকার। তবে এরপর সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। একইসঙ্গে জোরদার হয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা।