সরকার পতনের পর কাজাখস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অস্থিরতা। চলমান বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার বৃহত্তম শহর আলমাটিতে বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে কয়েক দফা সহিংস সংঘর্ষ হয়।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের তথ্য অনুসারে, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা দমনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরদিনই এই ঘটনা ঘটল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেনাবাহিনী সাঁজোয়া যান ও বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে আলমাটির প্রধান চত্বরে ঘিরে রাখে। এ সময় গুলির শব্দও শোনা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম স্থগিত করেছে কাজাখস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক। তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফ্লাইদুবাই ও এয়ার আরাবিয়ার মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানে ফ্লাইট স্থগিত করে।
আলমাটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ। বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসীর দল’ বলে অভিহিত করে অস্থিরতা দমনে রাশিয়ার কাছে সামরিক সহায়তারও আবেদন করেন তিনি।
জ্বালানি গ্যাসের (এলপিজি) দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর কারণে সৃষ্ট অস্থিরতায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য নিহত ও ৩৫৩ জন আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে কাজাখ প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সৈন্য পাঠাতে শুরু করেছে রাশিয়া।