নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজির ব্যবহার দেখা গেছে ইউরোপের সব দেশেই। আতশবাজি থেকে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন অনেকে।
বিবিসি জানায়, নববর্ষের উদযাপনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
এদের মধ্যে নেদারল্যান্ডসে থার্টি ফারস্ট নাইটে প্রতিবেশীর নিজের তৈরি বাজি ফুটানোর সময় ১২ বছর বয়সী এক বালক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে একজন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডি টেলিগ্রাফের মতে, দেশটিতে আতশবাজিতে কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণে হাত-পা হারিয়েছেন তাদের অনেকেই।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেনেফে নববর্ষের প্রাক্কালে আতশবাজির বিস্ফোরণে ৩৭ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশ। জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, দেশটিতে এ ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি দুই দেশেই নববর্ষের সময় আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, দুই দেশেরই লোকজন সীমান্ত অতিক্রম করে আতশবাজি কিনে আনে। অনেকে ঘরে বসে নিজেরাই সেসব তৈরি করেছেন।
এছাড়াও অস্ট্রিয়াতেও কয়েকটি দুর্ঘটনায় আহন হন অনেকে। এর মধ্যে অবিস্ফোরিত ভেবে আতশবাজির কাছে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় ২৩ বছরের এক যুবক।
ডাচ কর্মকর্তারা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণের মাঝে আতশবাজিতে হতাহতরা হাসপাতালগুলোতে বাড়তি রোগীর চাপ সৃষ্টি করবে।