ওমিক্রন রোধে ফাইজার ট্যাবলেটের অনুমোদন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ০৮:২০ এএম

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' সংক্রমণ প্রতিরোধে ফাইজারের মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মার্কিন খাদ্য ওষুধ প্রশাসন এ অনুমোদন দেয়। এটি ওমিক্রন প্রতিরোধে কাজ করবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, ফাইজারের এই ট্যাবলেট করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে কেউ ঘরে বসেই এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন।

করোনা প্রতিরোধক টিকার পর এবার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট নিয়ে এলো ফাইজার। ট্যাবলেটটির নাম প্যাক্সলোভিড। ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ রোধে এই ট্যাবলেটের অনুমোদনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত এই ট্যাবলেট ১২ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ সেবন করতে পারবেন। দামে কম ও দ্রুততম সময়ে ট্যাবলেট সেবনের সুযোগ পাওয়ায় এটি করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সহজ কবরে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফাইজার কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্যাবলেট হাসপাতালে ভর্তি, গুরুতর পর্যায়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু ৯০ শতাংশ কমাতে সক্ষম। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায়  দুই লাখ ট্যাবলেটের কোর্স দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এরমধ্যে প্রায় ৭০ হাজারই মার্কিনিদের জন্য বরাদ্দ থাকছে।

ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্যাবলেটের অনুমোদনের পরপরই এক কোটি মার্কিনিকে চিকিৎসা দিতে চুক্তি করেছে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ৮ কোটি ওষুধের চুক্তি হয়েছে। আগামী বছর ট্যাবলেটের উৎপাদন আরও বাড়বে।

ফাইজারের নতুন এই ওষুধ প্যাক্সলোভিড একধরণের 'প্রোটিজ ইনহিবিটর'। কোভিড ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় একটি এনজাইমকে বাধা দেয়। এর সঙ্গে যখন রিটোনাভির নামের আরেকটি পিলের স্বল্পমাত্রার ডোজ নেওয়া হয়, তখন এটি দেহে দীর্ঘতর সময়ের জন্য অবস্থান করে। ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ওষুধের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দু'টি করে পিল গ্রহণ করতে হয়। অন্তত পাঁচদিন ওই ওষুধ সেবন করতে হয়। এমএসডি'র পিলের সঙ্গে এই রিটোনাভির কিছুটা ভিন্নভাবে কাজ করে। এমএসডি'র পিলটি ভাইরাসের জেনেটিক কোডে ত্রুটি প্রবেশ করায়।