ঘূর্ণিঝড় শুধু তাণ্ডবের কারণেই সংবাদের শিরোনাম হয়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় বাহারি নামের কারণেও এর পরিচিতি বাড়ে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, সাধারণত যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার উপকূলবর্তী দেশ এর নামকরণ করে থাকে। একবিংশ শতাকের শুরুতে এই পদ্ধতির প্রচলন হয়।
২০০০ সালে ওমানের মাসকটে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ২৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করার দায়িত্ব নেয় ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক। এছাড়া বিশ্বে আরও ১০ প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ১৩টি দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পরামর্শ দেয়। বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন রয়েছে এই তালিকায়।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের নাম দিয়েছে সৌদি আরব। এর অর্থ উদার বা করুণাময়। উৎপত্তিস্থল আরব সাগরে থাকায় এই নাম দেয় দেশটি।