ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হামাস, তবে...

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
হামাস যোদ্ধারা। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে শিগগির ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছেন হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু। তিনি বলেছেন, “হামাস ‘গুরুতর জিম্মি বিনিময়’ ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।”

সোমবার (১৪ এপ্রিল) তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

তাহের আল-নুনু বলেন, “আমরা একটি গুরুতর বন্দী বিনিময় চুক্তির বিনিময়ে, যুদ্ধের সমাপ্তি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।”

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে জানিয়ে হামাসের এই নেতা বলেন, “বিষয়টি বন্দীর সংখ্যা নয়, বরং দখলদার (দেশ) তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদারকে (ইসরায়েল) চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।”

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানায়, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গোষ্ঠীটি ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র গ্যারান্টি দেবে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় প্রবেশ করবে।

এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। ভেঙে যাওয়ার আগে এটি দুই মাস স্থায়ী ছিল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ফের শুরু হওয়ায় এবং দেশটি একের পর এক শর্ত আরোপ করায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে।

ইসরায়েলিদের দাবি, হামাসের মুক্তি দেওয়া বন্দীর সংখ্যা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এমনটা হয়েছে।

[113622]

এদিকে, তাহের জোর দিয়ে বলেছেন, “হামাস অস্ত্র ত্যাগ করবে না। তবে এটি যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের দেওয়া একটি প্রধান শর্ত। হামাসের কাছে অস্ত্র ত্যাগের বিষয়টি আলোচনার মোদ্দা নয়।”