৬ দিনে ২৩ জনের ধর্ষণের শিকার তরুণী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
ছবি : সংগৃহীত

এক তরুণীকে ৬ দিনে ২৩ জন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পর সেখান থেকে ফেরার সময় তিনি প্রথমে ধর্ষণের শিকার হন বলে জানা যায়। এরপর ৬ দিন বিভিন্ন হোটেল ও বাসায় বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করা হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। ঘটনার পর এটি ভারতে এতটাই আলোড়ন তুলেছে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর পরিবার থেকে প্রথমে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর ধর্ষণ মামলা হয়। তাতে এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। বিভিন্ন সময় এসব ধর্ষণের আগে জোর করে মদপান করানো হয় তাকে। তবে ওই তরুণী এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কিছুই বলেননি।

ওই তরুণীর পরিবার থেকে মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ মার্চ তিনি বন্ধুর বাড়িতে যান। ফেরার সময় রাজ নামের একজনের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ তাকে লাঙ্কা নামক এলাকার একটি ক্যাফেতে নিয়ে যান এবং অন্য বন্ধুদের নিয়ে বাজে আচরণ করতে থাকেন। পরদিন ৩০ মার্চ সামীর নামের আরেকজনের সঙ্গে দেখা হয় ওই তরুণীর। ওই সময় সামীর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। ওই তরুণীকে মোটরসাইকেলে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন তারা।

অভিযোগে বলা হয়, ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে নাদেসার নামক এলাকায় ফেলে যান সামীর। ৩১ মার্চ আয়ুশ ও আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই তরুণীকে আরেকটি ক্যাফেতে নিয়ে যান। সেখানে মদপান করানো হয় তাকে, এরপর করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। ১ এপ্রিল সাজিদ নামের একজন তাকে একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে অনেকে মিলে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে বাইরে ফেলে যান তাকে।  

সেখান থেকে ফেরার পথে ইমরান নামের আরেকজনের সঙ্গে দেখা হয় ওই তরুণীর। তিনিও তাকে আরেকটি হোটেলে নিয়ে যান এবং জোর করে মদপান করানো হয়। সেখানেও তাকে ধর্ষণ করে পরে বাইরে ফেলে রেখে যান। ২ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান রাজ খান নামের আরেকজন। তিনিও তাকে ধর্ষণ করেন। ফেলে রেখে যান একটি ঘাটে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বন্ধুর বাসায় নিয়ে যান দানীশ নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি ও কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। 

শুক্রবার এ ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন নরেন্দ্র মোদি।