সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাত সামলে উঠতে না উঠতেই ফের ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মিয়ানমার।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২ মিনিটে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল।
ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রথম ধাক্কার পরে একাধিক আফটার শক হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এনসিএসের বার্তায়।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্প দুটি ছিল গত এক শতাব্দীর মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রাম-শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
চীনের সিনহুয়া নিউজের তথ্যানুযায়ী, গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ হাজার ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং এখনো আরও ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
[113495]
ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।