বাতিঘর নিরীক্ষা করতে গিয়ে পেয়ে গেলেন ১৩২ বছর আগের চিরকুট

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম

সম্প্রতি তিনি ২০৯ বছরের পুরোনো একটি স্কটিশ লাইটহাউস বা বাতিঘর নিরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন রস রাসেল নামের এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করতে গিয়ে ভেবেছিলেন, পেয়ে গেছেন গুপ্তধনের সন্ধান। কিন্তু না,  সেখানে তিনি পেয়ে যান শত বছরের পুরোনো বোতলবন্দী এক চিরকুট। 

রাসেল নর্দান লাইটহাউস বোর্ডের কর্মী। সেখান থেকেই তিনি গিয়েছিলেন ক্রসওয়াল লাইটহাউসে। বাতিঘরটি স্কটল্যান্ডের দক্ষিণ–পশ্চিমের রিনস অব গ্যালওয়েতে অবস্থিত। সমুদ্রে নিরাপদে জাহাজ চলাচলে নাবিকদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই বাতিঘর। এগুলোর নিয়মিত সংস্কার করতে হয়। কী কী সংস্কার প্রয়োজন, সেটা দেখতেই ক্রসওয়াল লাইটহাউসে গিয়েছিলেন রাসেল।

একটি কাপবোর্ডের কয়েকটি প্যানেল সরিয়ে নিতেই রাসেল দেয়ালের ভেতর লুকিয়ে রাখা একটি বোতল দেখতে পান। দেয়ালের ভেতরে রাখা বোতলটি তিনি হাত দিয়ে নাগাল পাচ্ছিলেন না। ডেকে নিয়ে আসেন সহকর্মীদের। তারপর লম্বা দড়ি ও একটি ঝাড়ুর হাতল দিয়ে বোতলটি টেনে বের করে আনেন। বোতলটি আট ইঞ্চির মতো লম্বা। সেটির নিচের অংশের গঠনও বেশ অস্বাভাবিক।

বাতিঘরটির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ব্যারি মিলারের সামনে বোতলটি খোলা হয়। অবশ্য বোতলটি খুলতে তাঁদের বেশ কসরত করতে হয়েছে। এর ছিপি সেটির মুখে পুরোপুরি আটকে গিয়েছিল। একটি ড্রিল মেশিন দিয়ে খুব সতর্কভাবে ছিপির ভেতর দিয়ে ড্রিল করে সেটির মুখ খোলা হয়।

বোতল থেকে বেরিয়ে আসে একটি চিরকুট, যাতে জ্বলজ্বল করছে ৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯২। চিরকুটে তিনজন প্রকৌশলীর নাম লেখা। তারা ১০০ ফুট উঁচু বাতিঘরটির ওপর নতুন ধরনের একটি বাতি লাগিয়েছিলেন। এ ছাড়া সে সময় তিনজন বাতিঘর দেখভাল করতেন, যাদের নামও এতে রয়েছে।

চিরকুটটি হাতে পেয়ে সবাই আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে বিবিসি নিউজ স্কটল্যান্ডকে নিজের সেই অনুভূতির বর্ণনা দিয়ে মিলার বলেন, রাসেল ও তার সহকর্মীরা নিজেদের বার্তা লেখা একটি চিরকুট বোতলে ভরে সেটিকে আগের জায়গায় রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।