শাদা সুতোর আঠালো গোলক আগলে
স্থির হয়ে বসে আছে মাকড়সা,
শান্ত অথচ কৌশলী চোখের চাদরে জড়িয়ে,
শিকার করে নেয় ঐতিহাসিক সাকরাইন,
সফেদ সড়কের ফাঁদে লুট করে চলছে
শান্ত ভোরের অরুণোদয়ের এলোকেশী মাহেন্দ্রক্ষণ।
সে হাঁটছে নিজের সাম্রাজ্যে অবলীলায়,
নিজের পাতানো জালে তার মৃত্যু নেই—
সে জালে বাতাস ধরে রাখে—তারপর অক্সিজেন শূন্য
পৃথিবীতে দেখা দেয় হাহাকার—বাঁচার আকুতি,
কীট-পতঙ্গের মাংস-মজ্জা নিয়ে চলে কেমন উৎসব!
এভাবেই মাকড়সা গিলে খাচ্ছে চৈতন্যের প্রাণ,
বর্ণিল ত্বকের ছটায় বিভ্রান্ত করে কালের সারাংশ
অস্পৃশ্য করে সোঁদা মাটির কোমল শলমাজরি,
নিজে স্থির থেকে এক অবিনাশী অস্থিরতায়,
মাকড়সা গিলে খাচ্ছে শস্যের উর্বর আলাপচারিতা।