ফাগুনের আগুনরাঙা সকালে নিষ্পলক চোখে
তাকিয়ে দেখি হৃদয় কাঁপানো পাপড়িসকল গভীরভাবে উন্মুখ
সমস্ত শক্তি দিয়ে শোষণ করে নিতে চায়
মোহনা ডিঙিয়ে শঙ্খ নদের আড়ালে
প্রকৃতি জেগে উঠেছে,
দমকা হাওয়া বইছে অনবরত
সাধ্য নেই কারো আটকাবে ওই রাঙা আলোকধারী
প্রজাপতির ডানা মেলে উড়ার সাধ ছিল
ছিল পাহাড় ডিঙানোর আকাঙ্ক্ষা
পাতায় পাতায় লাবণ্যের আয়োজনের কমতিও ছিল না
চাঁদের রেখার এখন আর নেই দেখা
বিগত যৌবনা সে-তার আলোয় উদ্ভাসিতরাও
মুখিয়ে গেছে সেই কবে হায় চাঁদ, তুমি দেখা দেবে না আর
তোমার আশ্রিত জনে!
আদিগন্ত জোছনায় ছিল যারা আলোকিত
তাদের নিত্যপাঠ এখন বসন্ত অভিবাদন
আর তাদের দলে না থেকে সূর্যকে অভিনন্দন জানানোর অপরাধে
আমাকে ভর্ৎসনা পেতে হলো
উৎপাদকের উৎসরিতের চেতনা জাগানোর থিম
অবহেলা অনাদরে যাতে না হয় হিম
পুরোভাগ পাঠের অক্লান্ত শ্রম একাই করেছি বহন।
ভোরে পূব আকাশ লাল আভায়
আলোকিত উঁকি দিয়ে
সূর্য বিশালতার উপস্থিতি জানায়
দিগন্ত জুড়ে অনুভূতিতে
সিক্ত হয়ে পাপড়িগুলো
প্রস্ফুটিত হতে থাকে গ্রীবায়
লোহিত দূতেরা এঁকে দেয়
পদ্মপলাশ আঙুলের ছোঁয়ায়
শিহরিত হয়ে ওঠে-বাড়ায় আশ্বাস
ভূবনব্যাপী মানবচোখে বিস্ময় জাগিয়ে
জেগে ওঠে সূর্যমল্লিকা।