ব্র্যান্ডের প্রসাধনীতে থাকছে ক্যানসারের ঝুঁকি

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ১০:৪২ এএম

চোখ ও ঠোঁটকে আকর্ষণীয় করতে মাসকারা-লিপস্টিকের জুড়ি নেই। তবে এসব প্রসাধনী ব্যবহারে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। এমনকি ক্যানসারেরও ঝুঁকি থাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৩১টি প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। গবেষণায় অর্ধেকের বেশি পণ্যে ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পেয়েছেন। যা পিএফএএস নামক সম্ভাব্য বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন সায়েন্স পলিসি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, "পিএফএএস ভেঙে না গিয়ে শরীরে টিকে থাকে। যা ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।"

গবেষণাপত্রটি এই বছর ১৫ জুন এনভায়রনমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটারর্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

পিএফওএ এবং পিএফওএস নামক দুটি পিএএফএস রাসায়নিক বেশ কিছু ধরনের ক্যানসার, থাইরয়েডসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ধরনের রাসায়নিক কীভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করে তা জানতে প্রসাধনী পণ্য এবং বর্জ্য পানি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন গবেষকরা।

গবেষণায় তিন চর্তুথাংশেরও বেশি ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা, প্রায় দুই তৃতীয়াংশের বেশি ফাউন্ডেশন ও লিকুইড লিপস্টিকে (লিপগ্লস) ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পাওয়া যায়, যা পিএফএএসের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, "এ ব্যাপারটি আমাদের কাছে বোধগম্য। কারণ বেশকিছু পণ্য পানিরোধী বা দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এগুলোতে পিএফএএস ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।’

গবেষক দলটি আরো বিশ্লেষণের জন্য উচ্চ ফ্লুরিন মাত্রার ২৯টি পণ্য বেছে নিয়েছিলেন। এসব পণ্যে কমপক্ষে ৪ ধরনের পিএফএএস দেখতে পেয়েছেন তারা। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন।

উচ্চমাত্রার ফ্লুরিনের প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যে পিএফএএস রয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এমনকি পণ্যগুলোতে পিএফএএস রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, তা পণ্যের মোড়কে উল্লেখ করা ছিল না।

পণ্যের মোড়কে উল্লেখ না থাকার ফলে পিএফএএস এড়ানোর ক্ষেত্রে মানুষজনের করণীয় বেশি কিছু নেই। তাই গবেষকরা এ ব্যাপারে সরকার ও জনগণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

ব্রুটন বলেন, "আমরা যেসব প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছি, তার অর্ধেক পণ্যে উচ্চমাত্রার ফ্লুরিন ছিল না। যা বোঝায় যে, পিএফএএস ব্যবহার না করেও প্রসাধনী পণ্য তৈরি করা সম্ভব। তাই এর ব্যবহার বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু হওয়া উচিত নয়।"