শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাবে যেসব পানীয়

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৩:০৩ পিএম

শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ফ্যাট জাতীয় পদার্থ কোলেস্টেরল। এটি  মূলত মানবদেহের রক্তে ও শরীরের কোষে উপস্থিত থাকে। যা শরীরের কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গ তৈরিতে সাহায্য করে। হরমোন, ভিটামিন-ডি এবং পিত্ত রস তৈরির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবদেজে কোলেস্টেরল দুই রকমের হয়ে থাকে। এইচডিএল- নামক ভালো কোলেস্টেরল এবং এলডিএল  ও গ্লিসারাইডস নামক খারাপ কোলেস্টেরল। এই খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধমনীতে ফ্যাট জমতে থাকে এবং হার্টের রক্ত প্রবাহে বাধা পড়ে।

শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এর জন্য় চাই সহায়ক খাবার। সাধারণত কয়েকটি পানীয় রয়েছে  যা আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে_

কোকোতে ফ্ল্যাভানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এটি ডার্ক চকোলেটের প্রধান উপাদান। উচ্চমাত্রার মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এতে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে। দিনে দুই বার  ৪৫০ মিলিগ্রাম কোকো খাবেন।  তবে প্রক্রিয়াজাত চকোলেট না খাবেন না। এতে উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।

বেরি স্মুদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের উৎস। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ব্লুবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি জুস করে খেতে পারেন। প্রতিদিন লো ফ্যাট দুধের সঙ্গে এক মুঠো বেরি দিয়ে তৈরি জুস বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন।  কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে। যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া নিয়াসিন এবং কোলেস্টেরল কমানোর ফাইবার রয়েছে। যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা দু'মাস প্রতিদিন ২৮০ মিলি টমেটোর জুস পান করলে কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল দূরে থাকে।

গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। নিয়মিত গ্রিণ টি খেলে  এলডিএল এবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে থাকে।

সয়া মিল্কে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা কম হবে। সাধারণ দুধের পরিবর্তে নিয়মিত সয়া দুধ পান করুন। কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (FDA) এর মতে, প্রতিদিন কম মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ২৫ গ্রাম সয়া প্রোটিনযুক্ত ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওট মিল্ক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে বিটা-গ্লুক্যান নামক পদার্থ থাকে। যা পিত্ত লবণের সঙ্গে  মিথস্ক্রিয়া করে এবং অন্ত্রের মধ্যে জেলের মতো স্তর তৈরি করে। এটি কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ ওট মিল্ক খেলে শরীরে ১.৩ গ্রাম বিটা-গ্লুক্যান সরবরাহ করে।

সাইট্রাস ফলের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  বুস্টারের কাজ করে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও  সহায়ক। এক গ্লাস পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিংবা মালটা বা কমলালেবুর জুস খেতে পারেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।

 

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে