বয়স যতই বাড়বে ততোই চলতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাঁটা এবং ব্যায়াম করা অপরিহার্য হয়ে যায়। এতে শরীর এবং মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। দীর্ঘায়ু লাভে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের ব্যায়ামে কী হয়, কীভাবে করা যাবে, এটি নিয়মিত করার সেরা উপায় কী হতে পারে এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনে। তাদেরকে সবার আগে জানতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম কেন গুরুত্বপূর্ণ? নিয়মিত ব্যায়াম করলে_
কতটুকু ব্যায়াম করবেন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি ব্যায়াম করতে কিছুটা ভয় পেতে পারেন। আঘাত পাওয়ার ভয়ে থাকেন। অনেকে আবার নিশ্চিত নন, কোন ব্যায়াম করা উচিত।
এক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, জড়তা কাটিয়ে আগে শুরু করুন। কীভাবে বা কোথায় সক্রিয় হবেন তা না ভেবে, ব্যায়াম শুরু করুন দেখবেন পাল্টে যাবে জীবন।
কোন বয়সে কতটুকু ব্যায়াম করবেন এ বিষয়েও ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। যা হৃদ ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। প্রতি সপ্তাহে আপনার রক্ত পাম্প করে। জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে প্রতিদিনের অভ্যাস গড়ে উঠবে। প্রথমে দ্রুত হাঁটার মাধ্যমে শুরু করুন। এরপর সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন শরীরের সব পেশীর ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে ২ বা ৩ দিন হালকা ব্যায়াম করুন।
বাড়িতে থাকলে ঘরেই ১০ মিনিট হাটতে পারেন। বারান্দায় গিয়ে ১০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
যারা সপ্তাহে ৩০০ মিনিট বা তার বেশি সময় ব্যায়াম করেন তারা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
তবে সাধারণ লক্ষ্য হতে হবে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি থেকে ভারী ব্যায়াম করা। সপ্তাহের ২ থেকে ৩ দিন হালকা ব্যায়াম করা। এটিকে নিয়ম বানিয়ে নিন যা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুন কাজ করবে। তবে যারা হঠাৎ ব্যায়াম শুরু করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
যারা ভারী ব্যায়ামের পক্ষে নন, তারা অন্য উপায়ে শরীরচর্চার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন_
মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলতে এখনই ব্যায়াম শুরু করুন। ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে ওয়াটার এ্যারোবিকস বা নাচের ক্লাসে যোগ দিতে পারেন।
সূত্র: ওয়েব এমডি