ঘাম তো গরমে হবেই। কিন্তু ঘাম মানেই তাতে দুর্গন্ধ থাকবে আর তাই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হবে, তা নয়। ঘাম হলো শরীরের টেম্পারেচার রেগুলেটর। যাতে রং বা গন্ধ কোনোটাই নেই। কিন্তু শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ঘামের প্রতিক্রিয়ায় গায়ে গন্ধ হয়। একই রকম ঘামেও না সবাই। কে কতোটা ঘামে তা নির্ভর করে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যার ওপর। যাদের শরীরে ঘর্মগ্রন্থি বেশি, তাদের ঘামও বেশি হয়। তবে তুলনামূলকভাবে পুরুষদের চেয়ে নারীরা কম ঘামে। ঘামের সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে কীভাবে গরমে সুরভিত থাকবেন তাই নিয়েই আজকের আলোচনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. রাশেদ মোহাম্মাদ খান দিচ্ছেন কিছু পরামর্শ।
পরিচ্ছন্নতা
পরিচ্ছন্ন থাকাই হলো গরমে ঘামের গন্ধ দূর করার প্রথম ধাপ। পরিচ্ছন্ন থাকতে হলে ভালো করে গোসল করতে হবে। গোসল করলে আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়াগুলো দূর হয়। গোসল করতে হবে ভালো মানের সাবান দিয়ে। ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি পেতে গোসলের পানিতে ওডিকলোন মিশিয়ে নিন।
সুগন্ধি
দেহের স্বাভাবিক গন্ধের সঙ্গে পারফিউমের গন্ধ মিশে একটা আলাদা গন্ধ তৈরি করে। সেই গন্ধ সবার ভালো নাও লাগতে পারে। তাই মেখে পরখ না করে হঠাৎ করে কোনো সুগন্ধি কিনে ফেলবেন না। কড়া গন্ধের পারফিউম গরমের দিনে লাগাবেন না। কবজি, ঘাড়, বগলে পারফিউম লাগান, বেশিক্ষণ গন্ধ থাকবে।
ডিওডরেন্ট
গরমে সতেজ এবং স্নিগ্ধ থাকার জন্য ডিওডরেন্ট ব্যাবহার করুন। ডিওডরেন্টে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট থাকে, যা ব্যাকটেরিয়াগুলোকে সক্রিয় হতে দেয় না।
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান
অনেকের ত্বক খুব স্পর্শকাতর। পারফিউম বা ডিওডরেণ্ট লাগালে রেশ বের হয়। সেরকম হলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। যেসব জায়গা বেশি ঘামে সেখানে ট্যালকম পাউডার অথবা বেকিং সোডা লাগিয়ে রাখুন।
ডায়েট
তীব্র, ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত খাবার খেলে ঘামের দুর্গন্ধ বাড়ে। তাই এসব খাবার এই গরমে এড়িয়ে চলুন। পেঁয়াজ, রসুন, গরম মশলা, কফি এই খাবারগুলো কম খান। এগুলো ঘামের দুর্গন্ধ বাড়ায়।
যা মনে রাখা জরুরি