‘গাউট’থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়। এই ব্যথা হতে পারে পায়ের আঙুলেও। বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুলে। বুড়ো আঙুলের সংযোগস্থলে তীব্র ব্যথা হতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়েরই এই ব্যথা হয়। তবে নারীদের ক্ষেত্রে গাউটের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, নারীরা বুড়ো আঙুলের এই ব্যথায় বেশি ভোগে। উঁচু জুতা পরার কারণে তাদের এই সমস্যা বেশি হতে পারে। তাছাড়া যাদের শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি তারাই পায়ের আঙুলের তীব্র ব্যথায় কষ্ট পান। এই এসিডের মাত্রা দেহে বেড়ে গেলে হাড়ের সংযোগস্থলে লবণ জমা হয়। যা ব্যথার অন্যতম কারণ।
উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা জানান, অধিকাংশ নারীর পায়ের আঙুলে প্রথমে ফুসকুঁড়ি ওঠে। এই ফুসকুঁড়ি ইনফেকশনের রূপ নেয়। যার ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। জুতা পায়ে দিয়ে হাঁটতেও তখন কষ্ট হয়।
যথাসময়ে চিকিৎসা না নিলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। হঠাৎ স্ফীত হয়। পরে তা সারা পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগটি অন্য রোগের উপসর্গও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, ইউরিক এসিডের কারণে পাকস্থলীতে প্রদাহ এবং ঘা হতে পারে। তাই হাড়ের সংযোগস্থল বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি এর কারণে কিডনিতে পাথরও হতে পারে।
পায়ের আঙুলে ব্যথার কারণ
পানিশূন্যতার কারণে পায়ের আঙুলে ব্যথা হতে পারে। তবে স্কটল্যান্ডের ‘সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটি’র গবেষণায় উঠে এসেছে, অতিরিক্ত পানি পান করলেও আঙুলে ব্যথা হয়। কারণ অতিরিক্ত পানি পানে শরীরে ‘ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের অভাব হতে পারে। যা থেকে পায়ের আঙুলে ব্যথা হয়।
পুষ্টির অভাব থাকলেও পায়ের আঙুলে ব্যথা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামের অভাব থাকলে পায়ের আঙুলে ব্যথা হয়।
শরীরের কোনো পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়লেও সাময়িক ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পেশির ওপর একেবারে কোনো চাপ না পড়লেও ব্যথা হয়। অনেকদিন কোনও পেশি ব্যবহার না হলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তখন পায়ের আঙুলে ব্যথা হয়।
উচু জুতা কিংবা ভুলে মাপের জুতা পরলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা হতে পারে। যা থেকে পায়ের আঙুলে ব্যথা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন রোগের উপসর্গে পায়ের আঙুলে ব্যথা অনুভূত হয়। ‘পারকিনসন’স ডিজিজ’, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের কারণে এটা হতে পারে।