কোন পাশে ঘুমানো নিরাপদ?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২, ১১:৪৯ এএম

দেহঘড়ি ঠিক রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হচ্ছে ঘুম। ঘুম আরামদায়ক না সারাদিনের কাজকর্ম যেন থেমে যায়। ক্লান্তিভাব চলে আসে শরীরে। ঘুম আরামদায়ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ভঙ্গিও গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বাম কাত, কিংবা ডান কাত হয়ে ঘুমায়। কেউ আবার উপুর কিংবা চিত্ হয়ে না শুলে ঘুমই আসে না। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ রয়েছে। তারা জানান, আরামদায়ক ঘুম জরুরি। তবে বাম কাত হয়ে ঘুমালে স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাম কাত হয়ে ঘুমালে নাক ডাকার প্রবণতা কমে যায়। কেউ চিৎ হয়ে ঘুমালেই বেশি নাক ডাকে। চিৎ হয়ে ঘুমালে জিহ্বা, মুখ এবং চোয়াল সম্পূর্ণ শিথিল থাকে, তাই নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। তখন বাম কাত করে দিলে তার নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাম কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা ভালো। সঙ্গীর অভিযোগও শুনতে হবে না। 

গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া কমাতেও বাম কাত হয়ে ঘুমানো প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানান, বেশি পরিমাণে খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। বাম কাত হয়ে ঘুমালে সেই জ্বালাপোড়া কমে যাবে। খাবারের পর দুপুরে কিংবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই বাম কাত হয়েই ঘুমাবেন। এতে  অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমে।

এছাড়াও হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয় স্বাভাবিকভাবে ঝুলে থাকে। এতে খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। অগ্ন্যাশয় থেকে এনজাইম বেরিয়ে এসে খাবার হজম করে। 

শুধু তাই নয়, বাম কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তাদের হার্টও ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বাম কাত হয়ে শুলে হার্টে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। এতে ঘুমের সময় হৃদপিণ্ড পুরো শরীরে সহজে রক্ত সঞ্চালন করে।

বাম কাত হয়ে ঘুমালে কিডনি ও লিভার ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান,  কিডনি ও লিভার শরীরের মেটাবলিজমকে ঠিক রাখে। বাম কাত হয়ে ঘুমালে কিডনি ও লিভার শরীর থেকে বেশি করে টক্সিন বের করে দেয়। এতে কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে। 

বাম কাত হয়ে ঘুমানো সবচেয়ে বেশি উপকারিতার দেয় গর্ভবতী নারীদের। বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভবতী নারীদের লিভারের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকা জরুরি। বাম কাত হয়ে ঘুমালে সেই কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কখনও চিত্ হয়ে ঘুমাতে হয় না। এতে মৃত বাচ্চা প্রসবেব ঝুঁকি থাকে। 

 

সূত্র: হেলথজোন