বাচ্চারা বেশ সংবেদনশীল হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ অত্যন্ত সংবেদনশীল। সামান্য আঘাতে কিংবা কোনও কিছুর প্রভাবে বাচ্চার ত্বক বা চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। তখন চোখে শুষ্কভাব দেখা যায়। চোখে চুলকানি হয়। এমনকি পানিও পড়তে থাকে। এমন অস্বস্তিবোধে বাচ্চারাও বেশ বিরক্ত করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাচ্চাদের হঠাত্ চোখ লাল হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। বাচ্চা বারবার চোখ ঘষলে লাল হয়ে যেতে পারে। এটি স্বাভাবিকভাবেই হয়। আবার স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।
কোনও বাচ্চার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবুও চোখ লাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাবার বা ধুলো-বালি থেকে অ্যালার্জি হলে বাচ্চাদের চোখ লাল হয়ে যায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খেলাধুলা করলে সেখান থেকে ময়লা চোখে ঢুকে পড়ে। কিংবা শিশুর চোখে পোকা কামড় দিতে পারে। যা থেকে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।
অনেকসময় অসাবধানতাবশত চোখে আঘাত লাগতে পারে। আঘাত থেকেও চোখ লাল হয়ে যায়। পানি পড়ে এবং ব্যথা হয়। এই অবস্থায় বাচ্চাকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
শিশুদের ভাইরাল ইনফেকশন হলে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। অ্যাডিনোভাইরাস ও হারপিসের কারণেও ভাইরাল ইনফেকশন হয়। যা থেকে চোখের মনির ভেতরে লালচে ভাব হয়। ইনফেকশন ভালো না পর্যন্ত এই লালচে ভাব কমে না।
বিশেষজ্ঞরা জানান, হোমিফিলস বা স্ট্রেপ্টোকোকাস নিউমোনিয়ার কারণেও শিশুদের চোখে ব্যাক্টিরিয়াল ইনফেকশন হয়। যার কারণে চোখ লাল কিংবা হলুদ হয়ে যায়।
সূত্র: হেলথলাইন