বাড়িতে বাড়িতে কোরবানির মাংস রান্নার প্রস্তুতি চলছে। বেশ কয়েকদিনই চুলায় মাংস চড়ানো থাকবে। বানানো হবে হরেক পদ। প্রতিবেলায় খাবার টেবিলে মাংস খাওয়া হবে। মাংস বেশি খাওয়ার কারণে এই সময় স্বাস্থ্যঝুঁকিও অনেকটা বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে মাংস রান্নায় সাবধান হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মাংস কাটা এবং রান্নার ধরণের উপর নির্ভর করবে এটি কতটা স্বাস্থ্যকর।
যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ জার্নাল থেকে জানা যায়, গরুর শরীরের পেছনের রানের উপরে ফোলা অংশে এবং পেছনের দিকের উপরের অংশের মাংসে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এই অংশের মাংস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে। এছাড়া্ও মাংসের চর্বি কেটে ফেলে রান্না করলে কোলেস্টেরলের পরিমাণও অনেকটা কমে যায়। তাই মাংস রান্নার ধরণের উপর স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা অনেকখানি নির্ভর করে।
মাংস রান্নার আগে গায়ে লেগে থাকা চর্বি কেটে ছাড়িয়ে নিয়ে এরপর রান্না করুন।।
ছোট ছোট টুকরো করে মাংস রান্না করুন। টুকরো যতো ছোট হবে তত চর্বির পরিমাণ কম থাকবে। মাংসের কিমায় চর্বি সবচেয়ে কম থাকে।
মাংস ফ্রিজে রাখালে চর্বি জমে থাকে। সেগুলো ফেলে রান্না করা ভালো।
মাংস কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর পানিতে সেদ্ধ করে নিন। পানিতে চর্বি উঠে আসবে। এরপর রান্না করুন। কম তেলে রান্না করবেন। ঘি, মাখন না দিয়ে সাধারণ তেল ব্যবহার করুন।
মাংস ঝোল করে রান্না হলে শুধু মাংস তুলে খান। ঝোল না খাওয়াই ভালো। ঝোলে চর্বি বের হয়ে আসে। মাংসে থাকা ফ্যাট কমাতে ভিনেগার, লেবুর রস বা টক দই ব্যবহার করতে পারেন।
মাংস বেশি তেল ও মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ভুনা মাংস কম খাওয়াই ভালো। কসিয়ে ভুনা করে রান্না না করাই ভালো।