মাথা ব্যথা-চোখ লাফানো করোনার লক্ষণ!

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২, ০২:২৫ পিএম

করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন উপসর্গে দেখা দিচ্ছে। দেশেও এখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। করোনার বিভিন্ন উপসর্গে এটি শনাক্ত হয়। এরমধ্যে মাথা ব্যথা এবং চোখ লাফানোও অন্যতম উপসর্গ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্টেছে উপসর্গও। মৃদু থেকে শুরু করে গুরুতর উপসর্গও দেখা দিয়েছে এই ভাইরাস সংক্রমণে। ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর এসব উপসর্গের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভোগেন। সম্প্রতি এই ভাইরাস সংক্রমণে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মাথাব্যথা ও চোখ লাফানোর উপসর্গেও ভুগেছেন। রোগীর মধ্যে কনজেক্টিভাইটিস, পিঙ্ক আই ইনফেকশন এবং চোখ লাফানোর প্রবণতা বেড়ে যায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ হলে চোখ লাফানোর কেন বাড়ে এই প্রসঙ্গেও বিশেষজ্ঞরা জানান, ক্র্যানিয়াল স্নায়ুর প্রদাহের কারণে এমনটা হতে পারে। এটি চোখের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। চোখ, কান, নাকসহ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বার্তা প্রেরণ করে। যার ফলে ছোট ছোট কম্পন হতে পারে। স্নায়ু প্রদাহের কারণে চোখে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এতে বারবার চোখ লাফানো ও  অন্যান্য স্নায়বিক উপসর্গ হয়। এছাড়াও উদ্বেগ ও স্ক্রিন টাইম বেশি হয় করোনাভাইরাসের কারণে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, চোখ লাফানোসহ চোখের চুলকানি, লালভাব, কনজেক্টিভাইটিস আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, চোখে ব্যথা কিংবা চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। এই ধরণের উপসর্গে আইসোলেশনে যেতে হবে।

চোখের এই উপসর্গে মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, করোনার রোগীরা চোখ স্পর্শ করে হাত জীবাণুমুক্ত না করে যদি কিছু স্পর্শ করেন তবে ভাইরাস ছড়াবে দ্রুত। ভাইরাসটি কনজাংটিভা নামক টিস্যুকে সংক্রমিত করে। যা চোখের পাতার ভেতরের অংশকে সুরক্ষা দেয়। ভাইরাস সংক্রমণ এই টিস্যুর কাজকে ব্যাহত করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথা ব্যথা, চোখ কাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে এই ভাইরাস দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে। 

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া