জামের বিচি খেলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হবে ডায়াবেটিস

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২, ১১:২৩ এএম

দেশের অধিকাংশ মানুষই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছে। কম বয়সীরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘ মেয়াদী এই রোগের নিরাময় সম্ভব নয়। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে অন্যান্য রোগও বাসা বাধে। নিয়মিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। 

মৌসুমি ফল জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুন কার্যকর। বিশেষ করে জামের বিচি দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা এটি প্রমাণিত হয়েছে। 

গবেষণার উঠে আসে, জামের বিচি শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাছাড়া জামের বিচি উপকারী প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা  হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জামের বিচি রাখা দরকার।

গবেষকরা জানান, জামে থাকা হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাবে। জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিসের জন্য়ও উপকারী।

বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া এবং চীন-এ জামের ব্যবহার হয়ে আসছে এই মৌসুমি ফল। হজমের সমস্যা সমাধানে চীনের আয়ুর্বেদ ওষুধেও জামের বিচির ব্যবহার হয়।  

ডায়াবেটিস রোগীরা জামের বিচির মাধ্যমে কীভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করবেন? জাম পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখুন। জাম থেকে বিচি ছাড়িয়ে নিন। একটি শিশিতে রেখে দিন। বিচিগুলো  ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বিচির গায়ে যেন শাঁস না লেগে থাকে। পরিষ্কার কাপড়ে বিচিগুলো ছড়িয়ে রোদে তিন চার দিন শুকিয়ে নিন। বিচি শুকিয়ে গেলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের সবুজ অংশ বের করে নিন। সবুজ অংশটি সহজেই আঙুলের চাপে ভাঙে নেওয়া যাবে। সবগুলো  ভেঙে নিন। আরও কিছুদিন রোদে শুকিয়ে নিন। এবার শুকনো বিচিগুলো ভালো করে গুঁড়া করে নিন। সেই গুঁড়া ভালো করে চালনিতে চেলে নিন। এবার জামের বিচির সেই গুঁড়া একটি কাঁচের শিশিতে সংরক্ষণ করুন।

জামের বিচি যেভাবে খাবেন

ডায়াবেটিস রোগীরা এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ জামের বিচির গুঁড়া মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে। তবে রোগীরা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই পান করবেন।