ডায়রিয়ায় খাওয়ার স্যালাইন কখন, কীভাবে খাবেন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২২, ১২:৫২ পিএম

দূষিত পানি পান আর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের তীব্রতায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা যায়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে পারে খাওয়ার স্যালাইন। শরীরের দুর্বলতা কাটাতে খাওয়ার স্যালাইন খুবই কার্যকর।

বাজারের প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করার ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে। প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী স্যালাইন বানিয়ে নিন এবং সেই নিয়মেই খাওয়ান। বাড়ির তৈরি স্যালাইন ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়া যায়।

খাওয়ার স্যালাইন কখন খাওয়াবেন

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডায়রিয়া রোগের আক্রান্ত রোগীকে ডায়রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দেরি হলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। যতবার রোগীর মলত্যাগ পাতলা হবে এবং বমি হবে ততবারই খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে।

খাওয়ার স্যালাইন কী পরিমাণে খেতে হবে

মলত্যাগ পাতলা ও বমির পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়ার স্যালাইনের পরিমাণও নির্ধারণ করতে হবে। বমিভাব বা ঘন ঘন বমি হলেও স্যালাইন খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। স্যালাইন খেলে অনেকের বমি হয়। তখনো স্যালাইন খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে অল্প অল্প পরিমাণে স্যালাইন খেয়ে যাবে। যত দিন পর্যন্ত মলত্যাগ স্বাভাবিক না হয়, তত দিন স্যালাইন খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানোর নিয়ম

শিশুরা একেবারে অনেক স্যালাইন খেতে পারে না। এক্ষেত্রে অল্প অল্প করে চামচ দিয়ে স্যালাইন খাওয়াতে পারেন। খেয়াল রাখুন, তরল খাবার পানি, দুধ বা স্যালাইন শিশুকে শোয়ানো অবস্থায় খাওয়ানো যাবে না। শিশুকে কোলে নিয়ে মাথা উঁচু করে তরল খাবার খাওয়াতে হবে।

রোগীর খাওয়ার স্যালাইন যেভাবে তৈরি করা যাবে

কয়েক ধরনের স্যালাইন খাওয়ানো যাবে ডায়রিয়া রোগীকে। বাজারের কেনা প্যাকেট স্যালাইন, বাড়িতে তৈরি স্যালাইন এবং চালের গুঁড়ার স্যালাইন খেলে রোগী উপকার পাবে। হাতের কাছে যে স্যালাইন বানানো সম্ভব হবে, তা রোগীকে খাওয়ানো শুরু করুন।

বাড়িতে বানানো স্যালাইন

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা আধা লিটার পরিষ্কার বা ফুটানো পানির সঙ্গে তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ এবং একমুঠ গুড় অথবা চিনি মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে স্যালাইন। এটি ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।

প্যাকেট স্যালাইন

বাজারে পাওয়া প্যাকেট স্যালাইন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা আধা লিটার পরিষ্কার ফুটানো পানিতে সবটুকু মিশিয়ে নিন। চামচ দিয়ে ভালোভাবে মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে খাওয়ার স্যালাইন। এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকবে।

চালের গুঁড়ার স্যালাইন

এক মুঠ চাল ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এটি ব্লেন্ড করে নিন। একটি পরিষ্কার পাত্রে চা চামচের ৫ চামচ চালের গুঁড়া নিন। এবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা আধা লিটার ফুটানো পানিতে চালের গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আরও আধা কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এবার এটিকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করে তিন আঙুলের এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে চালের স্যালাইন। এটি বানানোর ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়া যাবে।

রাইস স্যালাইন

বাজারে রাইস স্যালাইন পাওয়া যায়। প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী এটি বানিয়ে নিন। প্যাকেটে লেখা  নিয়ম অনুযায়ী স্যালাইন খাইয়ে যান।