ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ভালো। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই ফলের আয়োজন। নানা ধরণের ফল খাওয়া হয়। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি ফল থাকে আয়োজনে। এসব স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী। কিন্তু ইফতারে প্রচুর পানিও পান করা হয়। ফল খাওয়ার পর পানি পানে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ফল খাওয়ার পর পরই পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। শুধু পেটের সমস্যা নয়, এই অভ্যাসে আরও নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় বা অন্য যেকোনো সময়ই ফল খাওয়ার পর পর পানি পান করা যাবে না। এতে ফলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফল খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের ক্ষতি হওয়া থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
ফল খাওয়ার পর পানি খেলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা জানাব আজকের এই আয়োজনে_
ফলের মধ্যে থাকে ঈষ্ট ও ফ্রুকটোজ। যার কারণে পানি খেলে পেটে অ্যাসিড টাইলিউটেড হয়। পেটে নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়। পেটে ব্যথা এবং পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়।
ফল খাওয়ার পর পানি খেলে শরীরের পাচন ক্রিয়া অত্যন্ত ধীর হয়ে যায়। ফলের যথার্থ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। পুরো শরীরেই এর প্রভাব পড়ে।
ফল খাওয়ার পর পানি পানে শরীরে পানির পরিমাণে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে ইনস্যুলিনের স্তর বেড়ে যায়। এতে ডায়াবেটিসের শঙ্কাও বাড়ে।
ফল খাওয়ার পর পানি পানে বদহজম হতে পারে। ফলের সব পুষ্টি শোষিত হওয়ার কারণে শরীরে অস্বস্তি হয়। হজমের রস এবং এনজাইমের স্বাস্থ্যকর কার্যকারিতায় এটি সমস্যা করে। হজমতন্ত্রের সমস্যার কারণে শরীরে অম্লতাও সৃষ্টি হতে পারে।
ফল খাওয়ার পর পানি খেলে হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। সিস্টেমের কার্যকারিতা সঠিকভাবে হয় না। এতে খাবারগুলো চর্বিতে পরিণত হয়। যার কারণে স্থূলতার মতো সমস্যা হতে পারে।
ফল খাওয়ার পর পানি পানে শরীরের পিএইচ স্তরের সমস্যা করে। বিশেষ করে যে ফলে উচ্চ পানির পরিমাণ রয়েছে যেমন তরমুজ, মাস্কমেলন, শসা, কমলা এবং স্ট্রবেরি-এগুলো হজম তন্ত্রের পিএইচ স্তরকে বিঘ্নিত করে। যা পিএইচ মাত্রাকে সমস্যা বাড়াতে পারে।