চুল পড়া ও অ্যালোপেশিয়া আসলে কী?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম

অ্যালোপেশিয়া কোনো বিরল রোগ নয়। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন এই রোগে। প্রতিটি মানুষের দিনে গড়ে ১০০টির মতো চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে  চুল পড়লেও তা আবার গজিয়ে ওঠে। কিন্তু চুল পড়া আর গজানোর অনুপাত যখন সমান হয় না, তখনই মাথার চুল কমতে থাকে। চুল পাতলা হওয়া শুরু হয়। চিন্তায় তখন মাথায় হাত!

বিশেষজ্ঞরা জানান, অতিরিক্ত চুল পড়ার অনেক কারণই রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা, ঘুম কম হওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, পানি কম খাওয়া কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ হলে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল পড়ার সঠিক কারণ জানলে এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলেই চুল পড়া কমে যায়। আবার শারীরিক অসুস্থতা কেটে গেলেও চুল পড়া কমে যায়। সবকিছুর পরও যদি চুল পড়া না কমে তখনই বিষয়টিকে আলাদাভাবে নজরে আনতে হয়।

‘অ্যালোপেশিয়া’ কী?

অ্যালোপেশিয়া চুল পড়ারই একটি রোগ। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিক্‌লগুলোকে আক্রামণ করে। তখনই মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়া শুরু হয়। একে অ্যালোপেশিয়া অ্যারেটা বলে। মাথার তালু এবং মুখেই এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো করে চুল পড়ে। ধীরে ধীরে ওই স্থানে টাক হয়ে যায়। দেখা যায়, অল্প বয়সেও এই রোগে চুল পড়ে মাথা টাক হয়ে যেতে পারে।

‘অ্যালোপেশিয়া’ উপসর্গ

এই রোগের আক্রান্ত ব্যক্তির চুল পড়া বেড়ে যায়। ব্রহ্মতালুর চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। গোলাকৃতি আকারে মাথার বিভিন্ন জায়গায় টাক পড়ে।ফাঙ্গাল ইনফেকশনে হঠাৎ করে চুল উঠে যাওয়া বেড়ে যায়। সঙ্গে ব্যথা বা চুলকানি হয়। 

অ্যালোপেশিয়া হওয়ার কারণ

অ্যালোপেশিয়া রোগ নিয়ে এখনও নানা গবেষণা চলছে। এর আসল কারণ জানতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন। তবে প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা জানান, এটি বংশগত রোগ হতে পারে। আবার পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিক কারণেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ, মেনোপজ, গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন বা পিসিওডির সমস্যার জন্য হরমোনের তারতম্য হলে এই রোগ হতে পারে। এছাড়াও ক্যান্সারের কেমোথেরাপি চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে চুল পড়া বাড়তে পারে।

 

সূত্র: আনন্দবাজার