ডায়াবেটিস ছাড়াও হতে পারে হাই ব্লাড সুগার!

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২২, ০১:৪৩ পিএম

দিনে দিনে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা উঠানামা করতেই থাকে। যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। সবসময় পরীক্ষা করতে হয়। তবে জানেন কি, যারা ডায়াবেটিসের আক্রান্ত নন তাদেরও হাই ব্লাড সুগার হতে পারে। এই ব্লাড সুগার বাড়তে থাকলেই শুরু হয় সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, হাই ব্লাড সুগার লেভেলকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। এর প্রভাবে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। খাওয়ার এক থেকে দু ঘণ্টা পর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ১০০-১২৫ এমজি/ডিএল থেকে ১৮০ এমজি/ডিল কিংবা এর বেশি হলে সেই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। এটি মানসিক চাপ কিংবা অন্য কারণেও হতে পারে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে চোখ এবং কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

হাই ব্লাড সুগারের ফলে রোগীর মধ্যে পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অত্যধিক তৃষ্ণা, ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, ঝাপসা দৃষ্টি, বমি বমি ভাব হয়।

যেসব রোগের কারণে হাই ব্লাড সুগারের ঝুঁকি থাকে_

মানসিক অবসাদ

মানসিক অবসাদে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বাড়লে অনিয়ন্ত্রিত স্ট্রেস কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।  এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম

নারীদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকেই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বলে। এই রোগে বেশি মাত্রায় টেস্টোস্টেরন, ইনসুলিন এবং সাইটোকাইনের ক্ষরণ শুরু হয়। এতে হাই ব্লাড সুগার হতে পারে।

ভাইরাস সংক্রমণ

যে কোনও ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ বা অন্য যেকোনো সংক্রমণ হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে রক্ত প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ অপসারণ হয় এবং ইনসুলিনের ক্ষমতা কমে যায়। হাই ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।

মেডিসিন

ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিনের মতো ওষুধ, ট্যাক্রোলিমাস এবং সাইক্লোস্পোরিনের মতো ইমিউনোসপ্রেসেন্ট এবং কর্টিকোস্টেরয়েডগুলোর সাহায্যে রক্তে এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে ক্লান্ত বোধ হয়।

 

সূত্র: হেলথ জোন