সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আগে হবু মায়ের শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। কেননা এই সময়ে মায়ের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার সন্তান জন্মের পরেও প্রয়োজন নতুন মায়ের যত্নের। কিন্তু মা হওয়ার কিছু দিন পর থেকে অনেক মা সন্তান সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না। যার ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে মায়ের। আবার অনেক সময় খাওয়ার অনিয়মের কারণে বেড়ে যায় বাড়তি মেদ।
নিজের যত্নে জন্য নতুন মায়ের নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। খাওয়াদাওয়া করা, নিয়ম করে ব্যায়াম, যোগাসন করলে কমতে পারে শরীরের বাড়তি মেদ। তাই খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে করুন কয়েকটি যোগাসন।
প্রথমে মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালুতে মেঝের ওপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। এরপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীর ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলুন। মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এভাবে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করতে পারেন। এতে পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
প্রথমে দুই পা ফাঁকা করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দুটি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীর বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখুন। ভুলেও হাঁটু ভাঙবেন না। কয়েক মুহূর্ত এভাবে থাকার পর হাত দুটি না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। প্রতি দিন কমপক্ষে ৩ বার এই আসন করলে হজমের ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই আসনটি খুবই উপকারী হবে। মানসিক অবসাদ কাটাতেও দারুণ কার্যকরী এই যোগাসন।
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের ওপরের অংশ ও পা একই সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে রাখুন। এভাবে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে দম ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন ২-৩ বার এই যোগাসনটি করলে শরীরের পেশি শক্তিশালী হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সূত্র: আনন্দবাজার