শীতের সময়টাতে স্বাভাবিকভাবেই গরম পানির প্রয়োজনটা বেড়ে যায়। গোসল থেকে শুরু করে রান্নাবান্না কাজে এমনকি পান করার জন্য গরম পানির দরকার পড়ে। শীতের তীব্রতার ভেতরে নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টায় এই গরম পানির ব্যবহার। শরীর গরম রাখা ছাড়াও হালকা গরম পানি পান করার আছে অনেক উপকারিতা।
সকালে খালি পেটে চা বা কফি পান করার বদলে হালকা গরম পানি পান করার উপকারিতা অনেক। তা ছাড়া কারণ হালকা গরম পানি পান করার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি আপনাকে ভেতর থেকে সুস্থ করে তুলবে।
সচেতন থাকার পরেও প্রতিদিন আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি যেগুলো আমাদের জন্য উপকারী নয়। তার ভেতরে তেল-মসলাযুক্ত বিভিন্ন খাবারও থাকে। সেসব খাবার থেকে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানি পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই অভ্যাস আপনাকে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পান করলেই পাবেন উপকার। এ ক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকারিতার জন্য হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করে থাকেন তবে আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে হালকা গরম পানি। এই শীতে নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস করুন। এটি শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমাতে দারুণভাবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চার আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। এতে ওজন কমানো সহজ হবে।
ত্বক ভালো রাখতে হালকা গরম পানি পান করার জুড়ি নেই। কারণ, এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে তুলতে পারে। নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে চোখে পড়ার মতো। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে পান করুন হালকা গরম পানি আর পরিবর্তন দেখুন নিজের চোখেই।
শীতের মৌসুমে কাশির সমস্যা খুব সাধারণ। শীত এলে এই সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কাশি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য নিতে পারেন হালকা গরম পানির। শুধু কাশিই নয়, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি দূর করতেও কাজ করে এই হালকা গরম পানি। তাই এই শীতে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত পান করুন হালকা গরম পানি।
গরম পানি পান করলে ঘাম হয় এবং ঘামের মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে মধু, আদা এবং লবণ মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার মিলবে। গ্যাস অম্বলের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও গরম পানি পান করা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, দেহে রক্ত চলাচল বাড়াতে, পেশী সঞ্চালনা আরও মসৃণ করতে গরম পানি বেশ উপকারী।