কতবার ব্যবহার করা যাবে এন৯৫ মাস্ক?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন নিয়মিত মাস্ক পরে থাকার কথা। পাশাপাশি ভাইরাস আটকাতে যে ধরনের মাস্ক সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি হচ্ছে এন৯৫ মাস্ক। কিন্তু এই মাস্কের চাহিদা যেমন বেশি তেমনই এর দামও বেশি। কাজেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে প্রতিনিয়ত এই মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। 

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন এতটাই বেশি সংক্রামক যে তা আটকাতে যথেষ্ট নয় সাধারণ একস্তরীয় কাপড়ের মাস্ক। এন৯৫ মাস্কে থাকে পলিপ্রোপাইলিন নামক তন্তু, যা একই সঙ্গে যান্ত্রিকভাবে এবং স্থির তড়িৎকে কাজে লাগিয়ে বাইরের জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই ভাইরাস আটকাতে এর জুড়ি মেলা ভার।

কিন্তু কতবার ব্যবহার করা যেতে পারে একটি এন ৯৫ মাস্ক? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন একবার নয় বরং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে একটি মাস্ক বেশ কয়েক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এতে একবার পরিধানযোগ্য লেখা থাকে তার কারণ, এই ধরনের মাস্ক সাধারণত চিকিৎসকরা পরে থাকেন। যেহেতু চিকিৎসকরা কোভিড আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন, কাজেই তাদের জন্য এই নিয়ম। একজন সুস্থ ব্যক্তি যেন সংক্রমিত না হয়, সে জন্য চিকিৎসকরা একবারই পরবেন এই মাস্ক। কিন্তু সাধারণ সুস্থ মানুষ এই মাস্ক একাধিকবার ব্যবহার করতে হলে কিন্তু মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এন৯৫ মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম

  • কোনোমতেই মাস্কের সামনের অংশে স্পর্শ করা চলবে না। অর্থাৎ বাইরের দিকে নাক ও মুখ বরাবর যে অংশগুলো থাকে, মাস্ক খোলা বা পরার সময় কোনোমতেই সেই অংশগুলোতে হাত দেওয়া যাবে না।
  • মাস্ক খোলা বা পরার সময় সতর্কভাবে মাস্কের দড়ি বা একদম পাশের দিকের অংশগুলো ধরে পরতে হবে।
  • ভিজে গেলে, ময়লা হয়ে গেলে, মাস্কের মধ্যে ভাঁজ পড়ে গেলে বা অন্য কোনোভাবে মাস্কটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই মাস্ক আর ব্যবহার করা যাবে না।।
  • যত বেশি দিন মাস্ক ব্যবহার করা হবে, স্বাভাবিকভাবেই তত বেশি জীবাণু ও দূষিত পদার্থ আটকে যাবে মাস্কে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ অসুবিধাজনক হয়ে উঠবে শ্বাস নেওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যখন মাস্ক পরে শ্বাস নেওয়া অসুবিধাজনক হয়ে যাবে তখনই বুঝতে হবে আর ব্যবহারযোগ্য নেই মাস্ক।
  • কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে একবারের বেশি এই মাস্ক ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

সূত্র: আনন্দবাজার