ওমিক্রন রোধে কোন মাস্ক কতটা কার্যকর?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২, ০৯:৫০ এএম

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। এর মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমিত রোগীর সন্ধানও মিলেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় করোনা তৃতীয় ধাপের শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণ মানুষরা কাপড়ের মাস্ক বেশি ব্যবহার করেন, যা কতটা কার্যকর তা নিয়েই রয়েছে সংশয়। তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মতবাদ জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্ক খুব একটা কার্যকর নয়। বিশেষ করে এক স্তরের কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রন রুখতে পারেন না। নতুন এই ধরন অ্যারোসলের মাধ্যমে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। অ্যারোসলের কণা অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতি হয়। এক স্তরযুক্ত কাপড়ের মাস্কের পক্ষে ওই কণা আটকানো সম্ভব হয় না।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে তাই ন্যূনতম তিনটি স্তর যুক্ত মাস্ক ব্যবহার করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কাপড়ের মাস্ক যদি পরতেই হয় তবে এর নিচে সার্জিক্যাল মাস্কও পরতে হবে।

একই কাপড়ের মাস্ক বারবার ব্যবহার করা যাবে কি না, এই নিয়েও ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কাপড়ে মাস্ক একাধিকবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা প্রতিদিন অন্তত একবার ভালোভাবে করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপরই রোদে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি।

কাপড়ের মাস্ক ছাড়া অন্য কোনো মাস্ক ওমিক্রন রোধে বেশি কার্যকর, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনাভাইরাস আটকাতে সবচেয়ে কার্যকর এন৯৫ মাস্ক। নতুন ধরনটিও এই মাস্কেই প্রতিরোধ সম্ভব। এই ধরনের মাস্কে প্রায় ৯৫ শতাংশ ভাসমান কনা আটকে যায়। এই ধরনের মাস্ক পরে নিঃশ্বাস নেওয়া কঠিন হতে পারে। তবে জনসমাগমে যেতে বা কর্মক্ষেত্রে এন৯৫ মাস্কের বিকল্প নেই। তবে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব না হলে বাইরে যেতে অন্তত দুটি করে সার্জিক্যাল মাস্ক পরতেই হবে।

আরও সংবাদ