অনেকে চোখের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগেন। এর প্রধান লক্ষণগুলো- চোখ চুলকানো, জ্বালাপোড়া করা, পানি পড়া ও ফুলে যাওয়া। মাঝেমধ্যে এই সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। মূলত মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেমে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যেসব জিনিস অ্যালার্জি সৃষ্টি করে একে বলে অ্যালার্জেন। এটি ধুলাবালি, খাবারসহ বিভিন্ন বস্তুতে থাকতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে শুধু অ্যালার্জেনেই অ্যালার্জি হয় না, যাদের শরীরে অ্যালার্জির মাত্রা বেশি তাদের চোখও অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে।
আজকের আয়োজনে আমরা জানব অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে—
গোলাপজল
গোলাপজল চোখের অ্যালার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে। চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দিন। এতে যে ইনফেকশনের কারণে চোখ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে সেটি কেটে যায়। গোলাপজল দেওয়ার পর চোখ কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। খোলা রাখলে তরলটি বেরিয়ে যাবে। তখন পুরোপুরি কাজ হবে না।
লবণপানি
এক গ্লাস পানি নিন। এতে ৩ চা চামচ পরিমাণ লবণ গুলিয়ে পানিটি ভালোমতো ফোটান। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানিতে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে চোখ ধীরে ধীরে মুছে নিন। এতে চোখে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে এবং জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থেকেও আরাম মিলবে।
ঠান্ডা পানি
চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে যন্ত্রণার উপশম হবে।
আমলকী ও মধু
আমলকী পাউডার করে নিন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর অ্যালার্জেনমুক্ত থাকবে।
সায়েনি
সায়েনি একধরনের হার্ব। এটি অনেকটা মরিচের মতো দেখতে। সায়েনি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার পাশাপাশি টক্সিন রিলিজ করতেও সহায়তা করে। চোখের ময়লা দূর করতে এর ভূমিকা রয়েছে।
সানগ্লাস
যদি আপনার অতিরিক্ত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তবে অবশ্যই কোথাও বের হওয়ার আগে সানগ্লাস পরে বের হবেন। বিশেষ করে যেখানে বাস করেন সেটি যদি ধুলাবালিপূর্ণ এলাকা হয় তাহলে চোখকে ডাস্ট অ্যালার্জিমুক্ত রাখতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।
পরিচ্ছন্নতা
ঘর এবং বিছানা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। যাতে ধুলাবালি না ওড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টিভি, মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারের সামনে টানা বসে থাকবেন না। আর চোখ চুলকালে আঙুল দিয়ে রগড়ানো থেকে বিরত থাকুন। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ও নাক ঢেকে নিন।