ভিটামিন পি-এর উৎস কী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় সব ধরণের ভিটামিনই সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।   এরমধ্যে তারুণ্য ধরে রাখতে অধিক কার্যকর হতে পারে ভিটামিন পি। এই ভিটামিনের নাম অনেকের কাছেই অপরিচিত। তাই এর প্রয়োজনীয়তা ও গুণাগুণও অনেকের কাছে অজানা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিটামিন পি শরীরের  অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিজ্জ খাবার থেকেই এই ভিটামিন পাওয়া যায়। উদ্ভিদের দেহে বিশেষ ধরনের কিছু জৈবরাসায়নিক উপাদান থাকে। যাকে বলা হয় ফ্লাভোনয়েড। একেই একসময় বলা হতো ভিটামিন পি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়,  মানবদেহে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেসব পরিবর্তন ঘটে তা সামলাতে ভিটামিন পি- এর প্রয়োজন হয়। এই ভিটামিন নিয়মিত গ্রহণ করলে হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, অন্যান্য ভিটামিনের সঙ্গে ভিটামিন পি-এর পার্থক্য রয়েছে। মূলত ফ্লাভোনয়েড আবিষ্কৃত হওয়ার পর এর নামকরণ করা হয় ভিটামিন পি। পরবর্তী সময়ে এটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়। যেখানে প্রমাণ হয়, এটি  অন্যান্য ভিটামিন থেকে আলাদা। তাই ভিটামিন পি নাম হলেও একে ভিটামিনের দলে রাখা হয়নি।

যেসব খাবারে মিলবে ভিটামিন পি

সাধারণত রঙিন ফলমূল, রঙিন শাকসবজি, টক ফলের খোসা, পুদিনাপাতা, সয়া, গ্রিন–টি, জলপাই তেলসহ উদ্ভিজ্জ খাবারেই রয়েছে ফ্লাভোনয়েড বা ভিটামিন পি-এর উৎস। এসব খাবার শরীরে অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে। নিয়মিত এসব খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণসহ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো বহু জটিল রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।