জেন জ়ি–দের প্রিয় ট্রেন্ডি কোলাজেন ওয়াটার

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

জেন জি প্রজন্ম নিজেদের চিন্তাধারার জন্য সবসময়ই প্রশংসিত। সবকিছু নিয়ে এগিয়ে চিন্তা করে এই প্রজন্ম। নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়েও বেশ সচেতন। তাই নতুন প্রজন্মের অনেকেই পছন্দ করেন কোলাজেন ওয়াটার। যা রীতিমতো ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে।

কোলাজেন ওয়াটার কী, এটা কতটা উপকারী? পুষ্টিবিদরা জানান, কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন। এটি শরীরের নানা টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ত্বক, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল পাওয়া যায়। এতে শরীরে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয়।

কোলাজেন ওয়াটার ত্বকের ইল্যাস্টিসিটি বাড়ায়। শরীরকে হাইড্রেশন করে। রিঙ্কলসের আশঙ্কা কমে যায়। গাঁটের ব্যথা, প্রদাহ কমায়। হাড় শক্ত করে, চুল-নখের শুষ্কতা দূর করে। শুধু তাই নয়, হজমে সাহায্য করে, পেশিকে শক্তিশালী করে। কোলাজেন ওয়াটার খেলে ঘুমও ভালো হয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

কোলাজেন ওয়াটার কতটুকু খাওয়া উচিত তা নিয়েও সঠিক ধারণা থাকতে হবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, অতিরিক্ত কোলাজেন ওয়াটার পান করা ঠিক নয়। প্রতিদিনই শরীরে কোলাজেন তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত কোলাজেনের প্রয়োজন পড়ে হলে তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত। কারণ একেক জনের শরীরে একেক পরিমাণ কোলাজেনের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের বেশি কোলাজেন ওয়াটার খেলে শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন জমবে। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

পুষ্টিবিদরা আরও জানান, শরীরে প্রোটিন হজম হতে সময় লাগে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, ব্লটিং, লিভারের সমস্যাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। তাই পরিমাণমতো কোলাজেন ওয়াটার খেতে হবে।

কোলাজেন ওয়াটার খাওয়া আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিবিদনরা জানান, ঠিক ডায়েট মেনে চললে কোলাজেন ওয়াটার খাওয়ার কোনও প্রয়োজন হয় না। বয়স বাড়লে মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া কমিয়ে দেন অনেকে। কিন্তু যত বয়স বাড়ে তত কোষ ক্ষয় হয়। যা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়।  বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের স্বাভাবিক মাত্রাও কমতে থাকে। তাই কোলাজেন ওয়াটার খাওয়া উপকারী হতে পারে। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।