প্রেগনেন্সিতে অ্যাসিডিটি সমস্যা হলে কী করবেন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

প্রেগন্যান্সি নারীর শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। এরমধ্যে পেট ফেঁপে থাকা, অ্যাসিডিটির সমস্যা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এই সময় অ্যাসিডিটির সমস্যার কারণে অরুচিও হয়। খাওয়া দাওয়ায় অনিহা চলে আসে। তাই প্রেগনেন্সিতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। এতে গর্ভবতী মা কিছুটা আরাম পাবেন এবং সঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রেগনেন্সির প্রথম ট্রাইমেস্টারে শরীরে একাধিক হরমোনের গতিবিধির বদল হয়। এর কারণে সকালে বমি ভাব হয়। তাই এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং জীবনযাত্রায় বদলে নিলে উপকার পাওয়া যায়।

প্রেগনেন্সিতে অ্যাসিডিটি কেন হয়

প্রেগন্যান্সির সময় প্রোজেস্টেরন হরমোনের কারণে পুরো শরীরে প্রভাব পড়ে। এই হরমোন খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর মধ্যে উপস্থিত স্ফিঙ্কটার পেশিকে শিথিল করে। এতে পাকস্থলীতে উপস্থিত অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে আসে। মুখে টক ভাব হয়। বুকে জ্বালাভাব হয়। যা অ্যাসিডিটির লক্ষণ।

গর্ভাবস্থায় অনেক খাবার খাওয়া হয়। যা অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছে হয়। যা হজম হতে চায় না। তাই অ্যাসিডিটি হতে থাকে। অনেক সময় এটি জটিল আকার ধারণ করে।

অ্যাসিডিটি হলে যা করবেন

প্রেগনেন্সিতে অ্যাসিডিটি হলে বাইরের খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। কারণ বাইরের খাবার খেলেই বেশি অ্যাসিডিটি হয়। তাই বাড়ির তৈরি খাবার খেতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর হালকা খাবার খেতে হবে। তেল, মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। শাক, সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন যেকোনো একটি ফল খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলেও বিপদ হয়। পানির ঘাটতি হলে শরীরে খনিজের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। যা থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। দিনে অন্তত ২.৫ লিটার পানি পান করতে হবে।

প্রেগনেন্সিতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে পারেন। সাধারণ অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধেই কাজ হবে। মনে রাখবেন, নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।