ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মিউজিক ব্যান্ড মেঘদলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) আদালত জানায়, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মামলার বাদী আইনজীবী ইমরুল হাসান মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ হজের এই তাকবিরকে গানের মধ্যে বিকৃতভাবে ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করে মিউজিক ব্যান্ড মেঘদলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর মেঘদলের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন আইনজীবী ইমরুল হাসান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
মামলায় মেঘদলের ভোকাল শিবু কুমার শিল, মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটারিস্ট ভোকাল রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটারিস্ট এম জি কিবারিয়া, ড্রামস আমজাদ হোসেন, কি-বোর্ড তানভীর দাউদ রনি ও বাঁশি সৌরভ সরকারকে আসামি করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই বাদী ইমরুল হাসান মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর বাসায় অবস্থানকালে বাদী ইমরুল হাসান সকাল ৭টার দিকে ইউটিউবে দেখতে পান। গানের তালে হজের তাকবির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধনীকে ইসলাম নিষিদ্ধ বাদ্য বাজনা তথা আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে বিকৃত সুরে গান আকারে অশ্রদ্ধার সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাতালের ন্যায় গাওয়া হচ্ছে। এ দোয়া প্রতিটি মুসলিমদের কাছে বিশুদ্ধ এবং পবিত্র। এ দোয়া বা প্রার্থনা সাধারণত হজের সময় বিনয়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাভক্তির সঙ্গে পাঠ করা হয়। গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসিতে ভাস্কর্যের সামনে করা হয় এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, মুসলমানদের পবিত্র কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়।
এ গান বাদী ইমরুল হাসান ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে অভিযোগ করে মামলার আবেদন করেন এই আইনজীবী।