দেশ মাতাচ্ছে শাকিব খানের ‘তুফান’। ব্লকব্লাস্টার এই সিনেমায় কিং খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। দীর্ঘ বিরতির পর তুফান দিয়েই সিনে জগতে ফেরেন তিনি। আর ফিরেই বাজিমাৎ করেন এই নায়িকা। সম্প্রতি তার সঙ্গে তুফান সিনের সাফল্য ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয়ে সংবাদ প্রকাশের। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।
তুফানের সাফল্য কীভাবে উপভোগ করছেন?
নাবিলা : সাফল্য! অবশ্যই ভালো লাগছে। অনেকে মিলে একসঙ্গে দল বেঁধে যাচ্ছে, সিনেমা উপভোগ করছে। যেখানেই যাই সেখানেই শুনি, দল বেঁধে সিনেমা দেখতে যাচ্ছে। আবার টিকিট পেতে সমস্যা হচ্ছে। ১০-২০ জন একসঙ্গে গেলে যা হয় আরকি, টিকিটি পেতে সমস্যা হয়। এ বিষয়গুলো ভালো লাগছে। বাংলাদেশে একসঙ্গে খেতে যাওয়া এক মনোরঞ্জনের বিষয় ছিল কিন্তু সিনেমা এভাবে একসঙ্গে দল বেঁধে যাওয়া, সত্যিই অভিভূতকর। আর আমাদের শহরে বিনোদনের তেমন কিছুও নেই। তো এই সিনেমার মাধ্যমে তা ঘটানো সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকেই তুফান দেখার মাধ্যমে নিজেদের সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করছে এবং প্রিয়জনের সঙ্গে নিয়ে সময়গুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এ বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগে। দর্শকদের ভালোবাসার জায়গা থেকে ব্যাপারটি ভীষণ আনন্দের।
পরিবারের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
নাবিলা : পরিবারের রেসপন্স বেশ ভালো। আমার পরিবার বন্ধুবান্ধব এবং দেশের বাইরে আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুরা যারা আছে, তারা আমাকে বলছে, তুফানের শো অন্যান্য শোজ থেকে বেশি চলছে। সব টিকিট সোল্ড আউট। ভীষণ ভালো লাগে, যখন দেশের বাইরে এবং পরিবারের কাছ থেকে এমন সাড়া পাই।
শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
নাবিলা : শাকিব খানের সঙ্গে আমার শুটের ফাঁকে ফাঁকে কথা হতো। বেশির ভাগ সময় কাজ নিয়েই কথা হতো। এর পাশাপাশি আমার পরিবার আর আমার মেয়েকে নিয়ে কথা বলতাম।
শাকিব খান নিজের কাজ নিয়ে অনেক সিরিয়াস। উনি যে কাজটি করেন খুব মনোযোগের সঙ্গে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করেন। এবং ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, শাকিব খান বাংলাদেশি সিনেমা নিয়ে অনেক আশাবাদী। এটা নিয়েই তার সমস্ত ধ্যানজ্ঞান। এটাই আমাকে ভীষণ উৎসাহ জোগায়।
আয়নাবাজির পর তুফান, মাঝে দীর্ঘ বিরতি, এ সময়টা অভিনয় করার ইচ্ছা হয়নি?
নাবিলা : আয়নাবাজির পর অনেকটা সময় বিরতিতে ছিলাম। কাজ করছিলাম না বলে অবশ্যই খারাপ লাগছিল। এত ব্যস্ততার মাঝেও যে ফিল্মে কাজ করতে না পারার দুঃখটা অনুভব করতাম না, ঠিক তা না। খারাপ লাগত। আমি সব সময় স্ক্রিনে অভিনয় করতে চাইতাম। কিন্তু ব্যাটে-বলে মিলছিল না। কিন্তু তুফান যখন আমার কাছে এসেছিল, তখন মনে হলো এই সুযোগটা আমাকে নিতেই হবে। এবং সেটা নিয়েছি। তার ফলও সুন্দরভাবে পাচ্ছি।
আগামী দশ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
নাবিলা : আগামী দশ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চাই, সেভাবে তো বলতে পারছি না। কিন্তু অভিনয়শিল্পী হিসেবে যেন দর্শক আমাকে মনে রাখে। আমি যেন দর্শকদের সব সময় ভালো ভালো কাজ দিয়ে যেতে পারি এবং সুন্দর সুন্দর কাজের অংশ হতে পারি।